পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ জাতীয় দৈনিক সহ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের নান্দুহার গ্রামের তিন ভূমি খোরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর পরই দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে উপজেলার ভূমি অফিসে নুতন এসিল্যান্ড আসায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে গড ফাদার সহ দুই ভূমিখোর। স্থানীয় সূত্র জানায় ঠান্ডা মাথায় সরকারি সম্পত্তি অবৈধ ভাবেভোগ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের নান্দুহার গ্রামের মোঃ ওয়াদুদ তালুকদার সহ মোঃ জাকির হোসেন মন্টু ও আঃ হাই কবিরাজগংরা। সমগ্র এলাকায় চরম বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে সকলেই বাঁকা চোখে দেখেন। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে মূল গড ফাদার মোঃ ওয়াদুদ তালুকদার। তার নেতৃত্বে অন্য সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তির শ্রেণি পরিবর্তন সহ লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এলাকার স্বার্থে এবং সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সঠিক নিয়মে সঠিক ভাবে ভিপি সম্পত্তির বন্টন হওয়া দরকার। বিগত সময়ে সরকারি ভূমি অফিসের কিছু কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজশে ভিপি সম্পত্তি নিয়ে এলাকার বিতর্কিত ওয়াদুদ তালুকদার সহ অন্য গংরা। এদের খেয়াল খুশি মত যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। সংবাদ প্রকাশের পর এলাকার সাধারণ মানুষেরও চোখ খুলেছে। মিডিয়ার কল্যানে সমাজের বদ চরিত্রের ভূমিখোর লোকের নাম জানতে পারছে কৌশলে। ভদ্রতার ও শিক্ষার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ও অন্যায় কাজ কর্ম করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। পাশাপাশি এ চক্র সুকৌশলে সরকারি ভিপি সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি রোপিত গাছ কর্তন করে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে সর্ব মহল থেকে। সরকারি কাগজ পত্র অনুযায়ী, বাখেরগঞ্জ জেলার আওতাধীন সুটিয়াকাঠীর নান্দুহার মৌজার ৩২৬ খতিয়ান, ৩৮১ খতিয়ান ও ৩৮০ খতিয়ানের ৬৪/৬৫/৬৬/২৫৯/ ২৬১/৬৮/৭২/ ২৬৩/ ২৬৪/৭৩/৭৪/৬৯/২৬৬ দাগের মূল মালিক ছিলেন মনরঞ্জন সাহা ও রামধন গংরা। সরকারি তথ্য মতে ভিপি সম্পত্তির আওতায় আসে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে। সূত্র মতে ভিপি কেস নং ১২৩/৮২ সালের ভিপি ভুক্ত ১৫-৮৮ একর জমি। আবার অপর দিকে ভিপি কেস নং ১৩৯/৮৪ সনে ভিপি ভুক্ত ৩-১৫ একর জমি। এদিকে সরকারি ভিপি সম্পত্তি নিয়ে ১৯৮২ সাল থেকে শুরু হয় সমাজের মধ্যে নোংরামির খেলা। তৎকালীন সময়ে ভিপি সম্পত্তির ডিসি আর নেয় নান্দুহার এলাকার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, আঃ আলিম, ওদুদ তালুকদার, সালেক কবিরাজ ও মালেক কবিরাজ গংরা। স্থানীয় সূত্র মতে চলতি সময় পর্যন্ত এহেন ডিসিআরের শর্ত ও সকল সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে ওদুদ তালুকদার ও আঃ হাই কবিরাজের নেতৃত্বে। স্থানীয় সূত্র জানায় বিগত সময়ে সরকারি ভূমি অফিস থেকে ডিসি আর কাটলেও অদ্যবদি কোন রকম নিয়ম মানা হচ্ছে না। গায়ের জোরে ও ক্ষমতার দাপটে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। সর্বশেষ ডিসিআর কাটে ২০১৭ সালে। আর এনিয়েও নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সুশীল সমাজের কাছে। এ ব্যাপারে উপজেলার বিজ্ঞ মহল মিডিয়াকে বলেন, এস এ পরছার তথ্য মতে ৩২৬ খতিয়ানের ১৩ টি দাগে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৪ একর ২২ শতাংশ। অথচ অজ্ঞাত কারণে মূল মালিকের সম্পত্তি থেকে ১৯৮৪ সালে ১৫ একর ৮৮ শতাংশ ভিপি সম্পত্তির আওতায় আনা হয়। প্রশ্ন হল বাকী সম্পত্তি কেন ভিপি সম্পত্তির আওতায় আনা হলো না। তৎকালিন সময়ে কিছু অসৎ ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এজাতীয় অপকর্মে লিপ্ত থাকতে পারে বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। ভিপি সম্পত্তির উপর ভোগ দখলের সরকারি নিয়ম নীতির নির্দেশনা উপেক্ষা করে জোকের মতো সব কিছু অবৈধ ভাবে চুষেচুষে খাচ্ছে ওয়াদুদ তালুকদার সহ মোঃ জাকির হোসেন মন্টু ও আঃ হাই কবিরাজ গংরা। সরকারি ভূমি কর্মকর্তাদের বর্তমানে বোকা বানিয়ে স্ব স্ব ভূমিখোররা লক্ষ লক্ষ টাকার পাহাড বানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায় জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মাটি বিক্রি সহ গাজ বিক্রি ও পাকা ভবন করারও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও বিষয়টি সুকৌশলে এডিয়ে যান। পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানও বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকলেও কোন ধরনের সুপরামর্শ দেয়নি। অপর দিকে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দিনের পর দিন ভূমি খোরদের পক্ষে থেকে দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য মতে সরকারের স্বার্থে ভিপি সম্পত্তির উপর বিশেষ নজরদারি দিলে সরকারের রাজস্ব খাতে অর্থকড়ি আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। পাশাপাশি বেআইনি ভাবে ভূমিখোর সহ নিয়ম বহিঃভুত ভাবে ডিসিআর নেওয়া গংদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। এদিকে আঃ হাই কবিরাজের সাথে কথা হয়, তিনি গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে এটা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মাত্র। তবে মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা ভিপি সম্পত্তির উপর জমি ডিসিআরের বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবো। আসল বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখবো আসলে বিষয়টি কি ? সর্বশেষ তথ্য মতে এ চক্র এতটাই হিংস্র যা লিখে শেষ করা যাবে না। অবশ্য এ চক্রের আস্থানা নান্দুহারের জরুরবাড়ীর নুতন বাজার এলাকায়। এখানে নানান কায়দায় অপরাধ মূলক কর্মকা-ের নীল নকশা তৈরি করা হয়। এদের ভয়ে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন মুক খুলে কোন তথ্য প্রশাসন সহ গণ মাধ্যম কর্মীদের জানাতে পারেনা বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল জানান।
Leave a Reply