সাভারে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুক্তিপণ না পেয়ে আশুলিয়ায় সবুজ মিয়া নামে এক স্কুলছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা জাহিদুল ইসলাম নামে অপর এক কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ার মোজারমেইল এলাকার মহাসড়কের পাশের একটি ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। নিহত সবুজ মিয়া লালমনিরহাট জেলার সদর থানার কাজী কলোনি গ্রামের মিছির আলীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আহত অপর কিশোর জাহিদুল ইসলামও একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার রাতে সবুজ ও জাহিদুল গ্রামের বাড়ি থেকে রাগ করে আশুলিয়ায় সবুজের বোনের বাড়ির উদ্দেশে আসে। কিন্তু বাসা খুঁজে না পেয়ে তারা আশুলিয়ার মোজারমেইল বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে থাকে। পরে রাতে কয়েকজন যুবক তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
দুর্বৃত্তদের মারধরে সবুজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল বিকেলেই তাদের দুজনকে একটি ভ্যানে করে হাসপাতালে উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু রাস্তায় সবুজ মারা গেলে ওই ভ্যানচালক গাড়িসহ তাদের রেখে পালিয়ে যায়।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নিহত ও আহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, পৃথক ঘটনায় রাতে সাভারের কর্ণপাড়া এলাকা ও আমিনবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক নারী ও এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিয়িত এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ, গত তিনদিন আগে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাভারের পালপাড়া এলাকায় নীলা রায় নামের এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো তাকে আটক করতে পারেনি।
Leave a Reply