শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
শুধু মুসলিম হওয়ায় হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো শিক্ষকদের

শুধু মুসলিম হওয়ায় হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো শিক্ষকদের

মুসলিম হওয়ায় দুটি গেস্ট হাউস থেকে ১০ জন মুসলমান শিক্ষককে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অগ্রিম অর্থ দিয়ে রুম বুক করার পরও ‘পাড়ার লোকেরা মুসলমানদের থাকতে দিতে চায় না’- এই অজুহাতে গেস্ট হাউসের কর্মীরা তাদের চলে যেতে বলেন। পরে শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা কাছাকাছি এক এলাকার ওই দুটি গেস্ট হাউস থেকে পুলিশ তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ওই ১০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক মালদা থেকে সোমবার ভোরে পৌঁছেছিলেন কলকাতার কাছাকাছি বিধাননগর বা সল্ট লেকে। তাদের কেউ প্রধান শিক্ষক, কেউ সহকারী শিক্ষক। রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরে সরকারি কাজেই এসেছিলেন তারা।

ক্লান্ত শিক্ষকরা অগ্রিম টাকা দিয়ে বুক করে রাখা গেস্ট হাউসের ঘরে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিতে চাইছিলেন। হোটেলে জিনিসপত্র রেখেই রাস্তায় বেরিয়ে জলখাবার খেতে গিয়েছিলেন। তখনই যে পাড়ার লোক তাদের দাড়ি-টুপি-পাজামা-পাঞ্জাবী দেখে সন্দেহ করেছেন, সেটা অনেক পরে বুঝতে পারেন ওই দলে থাকা একজন প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘সবাই রাত জেগে এসেছি। তাই স্নান করে একটু টিফিন করতে বেরিয়েছিলাম। ফিরে এসে ঘরেই কয়েকটা কাজ করছিলাম। এমন সময়ে গেস্ট হাউসের এক বেয়ারা এসে বলে যে আপনাদের আরও ভাল ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। আমার সঙ্গে চলুন। আমরা সেই কথা শুনে তার সঙ্গে যাই। দ্বিতীয় ওই গেস্ট হাউসে আমাদের বসিয়েই রাখে বেশ কয়েক ঘণ্টা। যখন তাদের বলি যে কী ব্যাপার। এখানে নিয়ে এসে বসিয়ে রেখেছেন, ঘর দিচ্ছেন না? ম্যানেজার তখন ফিসফিস করে বলে “আপনাদের এখানে থাকতে দেওয়া যাবে না মাস্টারমশাই। আপনারা চলে যান।”

পরে যে শিক্ষক সংগঠনের নেতার মাধ্যমে ঘর বুকিং করেছিলেন শিক্ষকরা, তাকে খবর দেন তারা। এই শিক্ষকদের সবাই একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্তি মঞ্চ নামের ওই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের মাধ্যমেই ওই শিক্ষকরা ঘর বুকিং করেছিলেন। শিক্ষকদের হেনস্থার খবর পেয়ে তিনি গেস্ট হাউসে যোগাযোত করলে তাকে জানানো হয় যে এলাকার মানুষদের আপত্তিতেই থাকতে দেওয়া হয়নি মুসলিম শিক্ষকদের।

মইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াই “মোরা একই বৃন্তের দুটি কুসুম- হিন্দু মুসলমান”। মাদ্রাসা হলেও অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী হিন্দু, স্টাফরাও অনেকে হিন্দু। সেরকম জায়গায় দাড়ি-টুপি আর পাজামা-পাঞ্জাবী দেখে বয়স্ক শিক্ষকদের গেস্ট হাউস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল – এটা কি আমাদের বাংলার সংস্কৃতি! এই ঘটনায় সত্যিই উদ্বেগজনক।’

পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়ে তার ভিত্তিতেই তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com