মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের বিরাম্বনা মানছেননা নিষেধাজ্ঞা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের বিরাম্বনা মানছেননা নিষেধাজ্ঞা

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের জন্য সদর হাসপাতালের সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়। মেইন আউটডোরে তিনজন এরিট্রোফার্মার রিপ্রেজেন্টেটিভ এক মহিলাকে ঘিরে রেখে মোবাইলে তার প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলছে। এদের মধ্যে এরিট্রোর্ফামার চিন্ময় বরকেলামসহ আরো দুইজন মিলে এই কাজ করছে। এ সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এরা ঐ দিন বিশটিরও অধিক প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় হলো এখানে ওষুধ কোম্পানির কাছে ডাক্তাররা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তারা অনেকটা ‘চুক্তিবদ্ধ’ হয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রাইব করছেন। আবার ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন মনিটর করে কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা। অর্থাৎ তাদের কোম্পানির ওষুধ ডাক্তার প্রেসক্রাইব করছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগীদের প্রেসক্রিভশনের ছবি মোবাইলে তুলে কোম্পানির বসকে পাঠাচেছন। ঝালকাঠিতে ওষুধ বিপণনের ক্ষেত্রে এভাবে একটা পুরো চক্র কাজ করছে।
ঝালকাঠির হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। তারা রোগীদের কাছ থেকে ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে রেখে দেয়। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তাদের ওষুধের বিক্রি বাড়াতে ডাক্তারদের অনৈতিক উপকৌটন দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন ডাক্তার বলেন, ‘ওষুধ বিপণনের প্রয়োজনে ডাক্তারদের উপঢৌকন দেয়ার প্রক্রিয়াটি এখন ওপেন সিক্রেট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বিপণন খরচের বড় অংশ অনৈতিকভাবে ব্যয় হচ্ছে।’ নাম প্রকাষ না করার শর্তে এক মেডিকেলে রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ওষুধ শিল্পের প্রচারণার বেশ গুরুত্ব রয়েছে। তবে দেশে ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রচারণার বাইরেও কিছু কাজ করে যা একেবারেই অনৈতিক। যেমন ওষুধ কোম্পানির লোকজন রোগীর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলে অফিসে কিংবা কোথাও সেটা দিয়ে দেয়। হয়তো ডাক্তারদের সঙ্গে একটা আঁতাত থাকে। ডাক্তাররা কোন কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশন করেছেন সেটা প্রমাণের জন্য হয়তো এই ছবি তোলা হয়। দেখাগেছে প্রেসক্রিপশনে মহিলাদের একটি রোগের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয় উল্লেখ করে ঔষধ দিয়েছে ‘কিন্তু তারা সেগুলো না মেনে নিজেদের স্বার্থে রোগীদের বিরক্ত করে সেই ছবিগুলো তুলছে। ফলে হাসপাতালের আউটডোর সার্ভিসগুলো প্রচন্ড রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ ওষুধ কোম্পানির লোকেদের ভিড় লেগেই থাকে। যেখানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রোগী দাঁড়াতে পারে না ঠিক মতো সেখানে ওষুধ কোম্পানির লোকদের এত ভিড় চোখে পড়ার মতো।
ঝালকাঠির সাবেক জেলা প্রশাসক মো.হামিদুল হক দায়িত্বে থাকার সময়। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১ট পর্যন্ত কোন ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রচারণা করতে পারেনি। তারা এই সময়ের মধ্যে ডুকতেও পারবেনা বলে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সাবেক এ জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেছিলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনও ভাবেই তারা হাসপাতালে ঢুকতে পারবে না। এই নিয়ম তিনি ঝালকাঠিতে থাকা কালিন সময় মানা হলেও এখন কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না। ফলে ওষুধ কোম্পানির লোকেরা ডাক্তারদের এত বেশি ব্যস্ত রাখে যে রোগীরা সুযোগই পায় না।
‘অথচ এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রচারণার অনেকগুলো মাধ্যম আছে। কিন্তু তা না করে কোম্পানির মালিকগুলো নিয়মকানুনই মানছে না। ঝালকাঠি জেলায় ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিক্রয় প্রতিনিধি অনেক। ঝালকাঠি সদরে ১৫২ জন, নলসিটিতে ৩০জন, রাজাপুরে ৫৫ জন ও কাঠাঁলিয়ায় আছে ২০ জন। তাহলে জেলায় মোট রিপ্রেজেন্টেটিভ আছে ২৫৭ জন। হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগ তারা এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মো.আবুয়াল হাসান বলেন,আসলেই এই বিষয়টি দুঃখজনক আমি আমার উর্দ্ধর্তন কর্তিপক্ষের কাছে অবহিত করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com