নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের টুমচর বাজার সংলগ্ন১১২ নং ভেদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে খালের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে স্থানিয় প্রভাবশালীরা সরকারি জমি দখল করে দোকানঘর উত্তল করেন, এমন সংবাদের সূত্রধরে ঘটনা স্থানে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন লোকে খালের ভিতরে দোকানঘর উত্তল করেন।
রাস্তার উপরে কিছু সংখ্যক লোক দারিয়ে দারিয়ে সহযোগীতা করছে এক সহযোগীর কাছে জানতে চাওয়া হয় এখানে দোকানঘর কে তুলে এমন প্রশ্ন কড়ার সাথে সাথে আবদুল হালিম মাস্টার নামে লোকটি সাংবাদিকে গালিগালাজ সহ মটর সাইকেল পুরিয়া দেওয়া এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মানহানি ও বেইজ্জতি করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলার মজিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল হালিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকে হুমকি দেওয়ার ভিডিও আছে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন শুক্রবার (৯ অক্টোবর ) দুপুরে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রথমে শিক্ষক হালিম সাংবাদিককে গালিগালাজ করতে করতে সামনে এসে ভূমি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে হালিমের লোকজন একত্রিত করে লাঞ্ছিত, বেইজ্জতি, অমানবিক আচারন এবং মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া সহ বিভিন্নভাবে হুমকি প্রধান করার দৃশ্য ভিডিওতে দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষক আবদুল হালিম তার পরিচয় দিয়ে বলেন, ভূমি কর্মকর্তা (এ্যাসিল্যান্ড) আমাদের জমি দখলের অনুমতি দিয়েছে তুই কেনো চাঁদাবাজি করতে এসেছো। তোরা সাংবাদিকরা চাঁদাবাজ সেখানেই যাও সেখানেই মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করো।
সে আরো বলে, ইউএনও জানে আমরা দোকানঘর তৈরি করি। সাংবাদিককে শাসিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি কত বড় সাংবাদিক হয়ে গেছো যে আমার মত একজন শিক্ষককে প্রশ্ন করো? আমি হালিম মাস্টার বহু পত্রিকায় আমার নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এমনকি অনেক অভিযোগ ইউএনও কাছে দেওয়া হয়েছে কিছুই হয়নি আমার।
তিনি বলেন, আমি জানি তার কাছেই ফোন করবি সে কি ব্যবস্থা নিবে। সে আজ আছে, কাল থাকবেনা। তার মতো অনেক ইউএনও এসেছে আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েও কোনও কিছুই করতে পারেনি। আমি ঠিকিই আমার বাড়িতে বসে চাকুরী করি আর যতো দিন আছি এলাকাই চাকুরী করবো। তা নাহলে কি আওয়ামীলীগ করি? তবে শিক্ষক হালিমের অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল ও সাংবাদিককের সাথে এমন আচারনের বিষয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, একজন লোক সে আমার কাছে জানতে পারে এমনকি সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখলের খবর শুনে ঘটনা স্থানে যেতে পারে তার জন্য তার সাথে এমন আচারন করবে সেটা তো ঠিক না। তাহাতে সে যেই হউক না কেনও।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মেহেদি হাসান বলেন, একদিকে সে শিক্ষক হয়ে অবৈধ ভাবে সরকারি জমি দখল করছে অন্য দিকে আবার সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেছে তার সাথে খারাব আচারন করছে। তিনি বলেন, যদি আমার নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে এবং সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি তার ধাড়া অপমান হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্দর থানার ডিউটি অফিসার (এস আই) অলোক বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিক্ষক হয়ে সরকারি জমি দখলসহ সাংবাদিককে হুমকি বিষয় ইউএনও বলেন, সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলকারী ও সাংবাদিকের সাথে এমন আচারনকারীদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply