কৃষ্ণ কান্ত দাশ, স্বরূপকাঠি ॥ ভাগ্যগুনে কোন বেচে গেলো মধ্য করফার একটি অসহায় ও হত দরিদ্র পরিবারের বিধবা স্ত্রী ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আদুরে। হীন স্বার্থের জন্য মধ্য করফার বেয়াদব খ্যাত শেখর সিকদার রান্নাকরা ভাতের মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মধ্য করফার স্বর্গীয় ইন্দোজিতের ছেলে শেখর সিকদার(৩৫) জায়গা জমির বিরোধ ও কলেজ ছাত্রীর সর্বনাশ করার চেষ্টা করে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আপন মৌসাতো বোনের বাসায় বুধবার সন্ধ্যার পর পরই রান্না করা ভাতের মধ্যে ঔষধ প্রয়োগ করার গোমর ফাঁস হয়ে যায়। গত বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময়ে শেখর সিকদার জল খাওয়ার নাম করে স্বর্গীয় নির্মল বেপারির কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সর্বনাশ করার জন্য কৌশলে রান্না করা অবস্থায় ঔষধ প্রয়োগ করে। লম্পট খ্যাত শেখর কূটকৌশলী শয়তানি বুদ্ধি খাটিয়ে হঠাৎ জল খাওয়ার কথা বলে শেখর রায়ের । সরল মনে আদুরীর মা জল আনতে ঘরের মধ্যে যায় আর সেই সুযোগ নিয়ে হঠাৎ নষ্ট চরিত্রের শেখর সিকদার রান্নাকরা ভাতের মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে। তবে আদুরীর মায়ের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে ভাতের পাতিলের দিকে নজর দেন। আর মুহূর্তের মধ্যে ঔষধ দেখতে পান আদুরী সহ তার পরিবার। এ ঘটনার অন্তরালের জায়গা জমির বিরোধ আছে বলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর পরিবার গন মাধ্যম কর্মীদের জানান।কান্নারত ভাষায় মেয়ে ও তার মা গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, নষ্ট চরিত্রের শেখর রায়ের স্বার্থের জন্য বিগত সময়ে একই রাতে বাছুরসহ তিন টি গরু বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে গরু মেরে ফেলে। এছাড়াও নীতিহীন শেখর রায় বিসাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করে প্রায় ১০০ হাসের মিনি খামারের দেশীয় হাস মেরে ফেলে। এছাড়াও অসভ্য চরিত্রের মাস্তান শেখর রায় আবারও পরবর্তী সময়ে একই পরিবারের গৃহ পালিত পঞ্চাশের ওদিক হাস মুুুরগিরও ক্ষতি সাধন করে। গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, আমরা শেখর রায়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, শেখর রায় ও তার আত্মীয় জুয়েল রায় ও বি এন পির ক্যাডার সেতাব রায়ের কূটকৌশলীর শয়তানি বুদ্ধিতে ক্ষতি সাধন হয় অসহায় পরিবারের। এদিকে ঘটনার পরক্ষনেই স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে করফা এলাকায় পরিদর্শনে যান। ঘটনার শতভাগ সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে বিষাক্ত ট্যাবলেট উদ্ধার করে ফাড়িতে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা ঘটনা স্থানে গিয়ে রান্না করা ভাতের মধ্যে দেওয়া ট্যাবলেট উদ্ধার করি। তবে প্রাথমিক ভাবে আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ প্রদান করি। এদিকে রান্না করা ভাতের মধ্যে ঔষধ প্রয়োগের ঘটনা নিয়ে সমগ্র করফায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম সমগ্র বিষয়টি শুনে চরম ঘৃণা প্রকাশ করেন। আসলে এজাতীয় টাউট ও নষ্ট চরিত্রের লোকদের কঠিন শাস্তির দাবি জানান। আসলেই লজ্জা শুধু করফায় নয় বরং সমগ্র সারেংকাঠীবাসীর। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ তথ্য মতে করফার বেয়াদব খ্যাত নষ্ট চরিত্রের শেখর রায়ের কঠিন শাস্তির দাবি সর্ব মহলের।
Leave a Reply