পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের আবেদন শুনানির জন্যে আগামী ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হবে।
স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে আওয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আওসাফুর রহমান বুলু।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লাকে গত ৫ অক্টোবর চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সময় পর তাদের নি¤œ আদালতে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আদালতে ওই দিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পৃথক দুটি মামলা করা হয়। আউয়ালের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়াল অবৈধভাবে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, লায়লা পারভীন অবৈধভাবে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদক বরিশালে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় আউয়াল দম্পতি জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় গত ৭ জানুয়ারি আউয়াল দম্পতি পিরোজপুর আদালতে হাজির হয়ে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। এই জামিন শেষ হলে গত ৩ মার্চ তারা জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। এই আদেশের পরপরই ওই জেলা জজকে বদলি করা হয়। এরপর ওইদিন বিকেলেই ফের জামিন আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। এ আবেদনে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আউয়াল ২০০৮ সাল ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
Leave a Reply