নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ৪, ৫,৬ নং ওয়ার্ডের বিট পুলিশিংএর উদ্যোগে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ টায় সমাবেশটি বন্দর থানার এস আই মিলনের নেতৃত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুল জলিল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদর, ইউপি সদস্য লাভু, ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য সালাম ভূঁইয়া। সময় বিশেষ বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদর, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুল জলিল, বিট পুলিশ অফিসার এসআই মিলন বলেন সারা দেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর নয় মাসে প্রতিদিন গড়ে তিনটির বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর অক্টোবরে এ সংখ্য বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ধর্ষণের মূহুর্তে নিজেকে রক্ষা করার উপায় সমূহ ও কৌশলঃ ভীত হয়ে প্রথমেই গা ছেড়ে না দিয়ে যতটা সম্ভব মাথা ঠান্ডা রাখুন। যখন সে আপনার দুই হাতের উপর হাত রেখে মুখের কাছে মুখ নিয়ে আসবে, তখন কপাল দিয়ে তার মুখে জোরে আঘাত দিন। এতে তার দাঁত দিয়েই তার ঠোট ও জিহবা কেটে যাবে। কাপড়ে সেফটি পিন থাকলে ঠান্ডা মাথায় সেগুলো গলায় ঢুকিয়ে দিন। অজ্ঞান হয়ে যাবে। ধর্ষক যখন উভয়ের কাপড় অপসারণ করবে সুযোগ বুঝে তার অন্ডকোষ বরাবর আপনার হাঁটু দিয়ে কিক করুন। এতে সে লুটিয়ে পড়বে। চুলে চিকন ক্লিপ থাকলে সেগুলো একটু কৌশনে গলায় অথবা কানের গোড়ায় ঢুকিয়ে দিন। এতে অজ্ঞান হয়ে যাবে। আপনার হাত বেঁধে ফেলার আগেই শেষ অস্ত্র আপনার হাত। দুই হাতের তর্জনী আঙুল ধর্ষকের দুই চোখের গোড়ায় সোজাসুজি প্রেসার দিয়ে ঢুকিয়ে চোখ নষ্ট করে দিন। মনে রাখবেন অন্তত আপনার সম্মানের কাছে পৃথিবীর সব খারাপ অপশক্তিই কিছুই না। তিনি আরও বলেন সমাজে সাধারণত, ধর্ষণের বিচার স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান করে থাকে, এতে করে যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের অপরাধ ধামাচাপা পড়ে যায় অনেক সময়। তাই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটলে সরাসরি থানায় অভিযোগ করবেন অথবা বিট পুলিশিং এর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল পুলিশের সহায়তা নিন।
Leave a Reply