বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে গত বছরের ১৩ মার্চ জলদস্যুদের গুলিতে আল-আমিন (৩০) নামে এক জেলে নিহত হয়। র্যাব অভিযান চালিয়ে পরের দিন নিহত ওই জেলের মৃতদেহ উদ্বার করে। নিহত আল- আমিনের বাড়ি বরগুনার নিশানবাড়িয়া গ্রামে। এরপর আল-আমিনের ভাই সগীর বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলা করার ১৯ মাস পর এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মাজেদুল ইসলাম এবং কাওসার হামিদ।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) জানান, মামলাটি দায়েরের পরে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহভাজন জলদস্যুদের তালিকা বানিয়ে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে মাজেদুল ইসলাম ও বাশখালীর ঘন্ডামারা থেকে কাওসার হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ও জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কাওসার হামিদ ও মাজেদুল গত বছরের ১৩ মার্চে বঙ্গোপসাগরে জেলে ট্রলারে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে। আজ আদালতে উপস্থিত করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, আমরা জলদস্যুদের শিকড়ের সন্ধান করছি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জলদস্যু চক্রকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
Leave a Reply