আর মাত্র ১৬০ দিন বাকী ইউনিয়ন নির্বাচনের
এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে অকুতোভয় সাদা মনের সাহসী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বরূপকাঠি উপজেলার সম্পদ আরামকাঠীর কৃতি সন্তান মোঃ শওকত আলী আকন। বয়সের ভারে নুয্য হলেও মনের জোরে এখনো টগবগে তরুণ প্রজন্মের একজন অন্যতম মানুষ। আর হ্যাঁ, আমরা পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছিলাম সময়ের আলোচিত ও প্রবীন নেতা মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী আকনের কথা। কিশোর বয়সে অসীম সাহসীকতার ফলে আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন শওকাত আলী আকন। কলেজ পড়ুয়া বয়সে ছাত্র লীগের এসি এস থেকে শুরু করে হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় জড়িয়ে মানব কল্যানে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশ মাতৃকার টানে বাংলার দামাল ছেলের ভূমিকায় যুদ্ধের ময়দানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যোগদান করে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের পর শিক্ষাকতা ছেড়ে ঢাকার মতিঝিলে ব্যাংকি ব্যবস্থায় জড়িয়ে পড়ে ব্যাংকার হিসেবে। নিজেকে সুপরিচিতি হিসাবে গড়ে তোলে আপন মহিমায়। পাশাপাশি চাকুরী কালিন সময়ে একজন পাকাপোক্ত খেলোয়াড় হিসাবেও নিজেকে মেলে ধরে নিজ যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে। পরবর্তী সময়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে জীবনের পরবর্তী সময়ে নিজ এলাকায় এসে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নির্বাচনে টান টান উত্তেজনার মধ্যে নিজেকে আবারও প্রমাণ করে যোগ্যতার মাপকাঠী দিয়ে। সবাইকে চমকে দিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়ে দারুণ মুন্সীয়ানার ছাপ দেখায়। সর্বশেষ তথ্য মতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকন কে নিয়ে জলাবাড়ীর সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আগামীতে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মসনদে বসাতে চায় এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন সহ সাধারণ মানুষ। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা সকলেই একসাথে শপথ নিয়ে মাঠে নেমেছি নুতন মুখের সন্ধানে। খুঁজে পেয়েছি সময়ের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করার মত শতভাগ যোগ্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকনকে। আরামকাঠী, শান্তিরহার এলাকার বেশীরভাগ মানুষের দাবি আমরা পরিবর্তন চাই। মুক্তিচাই বেয়াদব খ্যাত পলাশ হত্যার প্রধান আসামি বর্তমান চেয়ারম্যান বিতর্কিত আশীষ বড়ালের হাত থেকে। আমরা সমগ্র ইউনিয়ন বাসীরা পরিবর্তনের আশা নিয়ে প্রবীণ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়ে মাঠে নেমেছি। এ ব্যাপারে পূর্ব জলাবাড়ী এলাকার বেশীরভাগ লোকজন বলেন, কে প্রার্থী হবে কিংবা জয়ী হবে তা শতভাগ বলা মুশকিল। তবে হ্যা এলাকার বেশীরভাগ শীর্ষ নেতারা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে আমাদের এলাকায় সবচেয়ে বেশী বির্তর্কিত বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু আশিষ বড়াল। তবে এটাও সত্য গত নির্বাচনের মত এবারের ইউনিয়ন নির্বাচন হবে না বলে এলাকার বেশীরভাগ পুরুষ ও মহিলা ভোটাররা জানান। তবে মাদ্রার বেশ কিছু হিন্দু ভোটাররা মিডিয়াকে জানান, এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে বেশ আগেভাগেই। চলতি সময়ে এলাকার মধ্যে আলোচিত ও চমৎকার সুন্দর মনের জনপ্রিয় বাবু বিশ্বজিৎ হালদার খোকন, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মোঃ জিয়াউল হাসান জিয়া, বাবু শান্ত মজুমদার চন্দন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান সহ আরও বহু প্রার্থীর নাম চায়ের দোকানের আলোচনায় রয়েছে। অবশ্য বি এন পির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মোঃ মেহেদী সরোয়ার ও মোঃ ফরহাদ হোসেনও রয়েছে আলোচনায়।
এদিকে এত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যেও একটি নাম বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। আর সেই নামটি হল বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকনের নাম। বয়সের ভারে নুজ্জ হলেও মনের জোরে চির তরুণ। আর সেই কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আলাদা চিন্তা ভাবনা করে মাঠে নেমেছে শওকত আলী আকনকে নিয়ে। এ ব্যাপারে গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয় সময়ের আলোচিত নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকনের সাথে। একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, আমি বরাবরই সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে পথ চলতে পছন্দ করি সব সময়। আসলে আমি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি শেষ সময় পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করি। তবে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে জোরালো ভাষায় বলেন, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বজায় থাকলে আমি শেষ সময়ে শেষ চমক দেখাবো জনগণের ভালবাসা নিয়ে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হলে দেখা যাবে কার জয় হয়। তবে এটাও সত্য, জলাবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায় এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে। সর্বশেষ তথ্য মতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী আকন জানান, সঠিক নিয়মে ভোট হলে আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে বিশ্বজিৎ হালদার খোকন অথবা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ কে চায়। অবশ্য কঠিন ও চরম বিতর্কিত বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু আশিষ বড়ালের কাজে কর্মে ভীষণ ক্ষুদ্ধ। হতাশার সুরে বলেন, আগামীতে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একজন চমৎকার ভালো ও যোগ্য মানুষ আসুক। তবে আশীষ বড়ালের মত বিতর্কিত লোক যেন না হয়।