নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলামের অত্যাচার থেকে রক্ষা ও তার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড সোনা মিয়ার পুল এলাকার বাসিন্দা করেছেন এ্যা. রবিউল ইসলাম রিপন । লিখিত বক্তব্য এ্যা. রবিউল ইসলাম রিপন বলেন, ২৭ নং ওয়াডে সোনা মিয়ার পুল এলাকায় আমার পিতার জমিতে টিনসেট ঘর রয়েছে পাশাপাশি সামনে রাস্তা সংলগ্ন স্টল রয়েছে। আমার জমির পাশে আলাউদ্দিন শরীফের জমি বরিশাল সিটি কপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলাম (রুটি নুর ইসলামের) সহযোগী মনির হাওলাদার ২০১৭ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
কিন্তু জমির পূর্বের মালিক আলাউদ্দিন শরীফ তার রেকডিয় ৫ শতাংশ জমি থাকলেও সরজমিনে ৪.৫০ শতাংশ জমির উপরে দোকান ঘর র্নিমান করে দির্ঘ বছর ধরে ভোগ করছিলো। কিন্তু জমি বিক্রির সময় জমির মালিক আলাউদ্দিন শরীফকে ভুল বুঝিয়ে ৫ শতাংশের দলিল নিয়ে পূর্বের ভোগ দখলীয় জমি দখল বুঝে নেন। জমির দুই পাশে আমার জমি রয়েছে। আমার জমিতে সিমানা প্রচীর র্নিমান কাজ শুরু করি। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি মনির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বুলবুল আমার সীমানার মধ্যে তাহার ক্রয় করা জমি আছে দাবি করে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলাম বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর আমাকে নোটিশ পাঠিয়ে আমার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে কাউন্সিলর নুর ইসলাম সরজমিনে পরিদর্শন করে এবং মৌখিক ভাবে আমাকে কাজ করার জন্য অনুমতি প্রদান করে। আমি পুনরায় প্রাচীর র্নিমান কাজ শুরু করি। কাজ শুরুর দিনই কাউন্সিলর নুর ইসলামের সহযোগী বরিশালের এক সময়ের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শাহজাহান গাজী (ট্যারা শাহজাহান) ও রতন মৃধার সহযোগী ডাকাত ধলু তার বাহীনি নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারী আমার বসত বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আমার র্নিমান কাজ বন্ধ করে দেয়। উক্ত চাঁদার বিষয়টি আমি কাউন্সিলর নুর ইসলাম কে অবহিত করি। এসময়ে তিনি আমাকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। পরে ভূমিদস্যু কাউন্সিলর নুর ইসলাম দির্ঘ দিন কালক্ষেপন করে তার নিয়োজিত সার্ভেয়ার দিয়ে সোনা মিয়ার পুল বাজারের জমি’র দাগের সীমানা র্নিধারন করার জন্য ডাকাত ধলু বাহীনি নিয়ে জমি পরিমাপ করে।
সোনামিয়ার পুল বাজারে কোন দাগে সীমানা চিহিৃত না করে আমার বসত ঘরের সামনে একটি সীমানা ও পিছনে একটি সীমানা নির্ধারন করে। ডাকাত ধলু তার বাহীনি নিয়ে আমার বসত ঘরের সামনে একটি বড় বাঁশের মাথায় দড়ি দিয়ে বসত ঘরের পিছনে অণ্য একটি বাঁশের মাথায় দড়ি দিয়ে নিশান টানিয়ে দেয়।
বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়রকে অবহিত করি এবং জমি পরিমাপের জন্য সার্ভেয়ার চেয়ে দরখাস্ত দেই। মেয়র মৌখিক ভাবে আমাকে সিটি কপোরেশন সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করে দেবে মর্মে জানান। আমি বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারী বরিশাল সিটি কপোরেশনে জমি পরিমাপের জন্য সার্ভেয়ার চেয়ে দরখাস্ত দেই। ২৩ মার্চ সিটি কপোরেশনের সার্ভেয়ার সোনা মিয়ার পুল বাজারে জমি’র দাগের সীমানা পরিমাপের জন্য যায় এবং মূল রাস্তার পাশদিয়ে একপাশ পরিমাপ করে। পরবর্তীতে করোনা মহামারির কারনে সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্য পাশের জমি পরিমাপ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমি আমার বসত বাড়ীর উপর নিশান টানানোর বিষয়ে মাননীয় মেয়র মহোদয়কে অবহিত করা, ভূমি দস্যু নুর ইসলামের জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত না মানায় ভূমি দস্যু নুর ইসলাম ও ডাকাত ধলু বাহীনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদানসহ শারীরীক , মানষিক নির্যাতন শুরু করে।
এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন এভাবে চলতে থাকায় ভূমিদস্যু কাউন্সির নুর ইসলাম তার পালিত ডাকাত ধলু বাহীনি দিয়ে আমাকে খুন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে আসছে। গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টাকার দিকে ভূমি দস্যু কাউন্সিলর নুর ইসলামের নির্দেশে ডাকাত ধলু তার বাহীনি সহ ৭০-৮০জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাসার গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।দরজা ভাংচুর করার চেস্টা করে। এসময় আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে পেলে খুল করবে বলে হুমকী দিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে আমি এয়ারপোট থানায় ১৮ অক্টোবর ডাকাত ধলু বাহীনির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেই। কিন্তু থানা কতৃপক্ষ অদৃশ্য কারনে আমার অভিযোগ এজাহার ভুক্ত করেনি। এসময় এ্যা. রবিউল ইসলাম রিপন বলেন, ভুমিদস্যু কাউন্সিলর নুর ইসলাম ও ডাকাত ধলু বাহীনি আমাকে হত্যার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমি ভূমিদসদ্যু নুর ইসলাম ও তার পালিত ডাকাত ধলু বাহীনির উক্ত কর্মকান্ডের বিষয়ে বিচার চাই এবং আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বরিশাল সিটি কপোরশেনের মাননীয় মেয়র সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply