মো.অহিদ সাইফুল ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী এস.এ খতিয়ান নং ৩৪৩৮, এস.এ ২০৮৯/১ নং দাগ হইতে ২০১৩ সালে ০৮ শতাংশ লপ্ত চর জমি বন্দোবস্ত পায় সুফিয়া বেগম। তখন থেকে উক্ত জমিতে ঘর তুলে,গাছ লাগিয়ে ভোগ দখল করে আসছিল সুফিয়া বেগম। বর্তমান সাল পর্যন্ত বন্দোবস্ত এ জমির আমার মা সুফিয়া বেগমের নামে দাখিলা কাটা ও জমির ট্রেস রয়েছে আমার কাছে। এর পরে হঠাৎ করে স্থানীয় ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী আমির হোসেন মাস্টার, আমির হোসেন হাওলাদার,করিম হাওলাদার, নিরুল, ইউসুব আলী হাওলাদার, সেকান্দার আলী হাওলাদার, ফারুক সিকদার আমার মায়ের বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে আপত্তি দিলে আমার মা রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে বরাবরে আবেদন করে। পরে নির্বাহী অফিসারে নির্দেশে গত ০৩/০২/২০২০ ইং তারিখে সার্ভেয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ আহম্মেদ (শাহীন) সহ স্থানীয় গন্যমান্যসহ জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারন করে আমার মা সুফিয়াা বেগম এর নামে নামজারী করে দেয়। কিন্তু এর পরেও গত ১০/০২/২০২০ ইং তারিখে উক্ত সন্ত্রাসীরাসহ আরো ২০-৩০ জন লোক নিয়া উক্ত জমির পিলার ও সাইনবোর্ড উঠিয়ে ফেলে আমাদের রোপনকৃত গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়, রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমনই অভিযোগ করেন বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিক স্বামী পরিত্যক্তা সুফিয়া বেগমের ছেলে ওবায়দুল আকন।
তিনি আরও বলেন, ভূমি দস্যুরা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি, আমি মায়ের বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ইট বালু এনে ঘরের কাজ শুরু করলে ফেরদৌসি আক্তার নামে স্থানীয় এক নারীকে বাদী বানিয়ে ভূয়া পর্চা তৈরী করে রাজাপুর জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন । আর এই ভুয়া পর্চা সার্ভেয়ারের সহায়তায় তৈরি করে রাজাপুর ভুমি অফিসের চেইনম্যান মোতালেব হোসেন। কারন জমির সীমানা নির্ধারনের সময় মোতালেব আমার কাছে ৫,০০০/- টাকা দাবী করেছিলেন আমি গরীব বিধায় তাকে ৫০০/- টাকা দেওয়াতে মোতালেব ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে বড় অংকের উৎকোস গ্রহন করে এই কাজ করেছে। এছাড়াও বিবাদীদ্বয় আদালতে যে জমির দলিল দাখিল করেন তার খতিয়ান ও দাগ নাম্বারের দলিলের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
এছাড়াও ১নং বিবাদী আমির হোসেন মাস্টার খুব খারাপ লোক। তিনি নিজের ঔরশজাত ছেলেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসীর সহযোগীতায় হত্যা করে তার বিরোধীয়দের নামে মামলা দায়ের করেন যা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অনুসন্ধানে সত্যতার প্রমান মিলেছে। উক্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পরিত্রান ও মায়ের বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ঘর তুলে মাকে নিয়ে থাকতে পারি এজন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট জোড় আবেদন জানিয়েছেন ওবায়দুল আকন।
Leave a Reply