শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বরগুনায় ধর্ষণ মামলার সাক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদ-, আসামি খালাস

বরগুনায় ধর্ষণ মামলার সাক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদ-, আসামি খালাস

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনায় একটি ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়ে আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত এমাদুল হক বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি গ্রামের সেকান্দার জোমাদ্দারের ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বর)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার খবির গাজীর ছেলে মোহসিন এবং অহেদ খানের ছেলে মোয়াজ্জেম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক গৃহবধূ তার কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। মামলায় সাজপ্রাপ্ত এমাদুল হক চার নম্বর সাক্ষী ছিলেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এরপর বাদী ঘুম থেকে ওঠে মেয়ের রুমে গিয়ে মেয়েকে না দেখে খোঁজ করতে গিয়ে মেয়ের জুতা ও ওড়না খুঁজে পান। এরপর খোঁজা-খুঁজি করে তিনি সুপারি বাগান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলার সাক্ষী এমাদুল হককে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। মামলার এজাহারে চার নম্বর সাক্ষী ছিলেন এমাদুল হক। কিন্তু এ তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলে এমাদুলকে অব্যাহতি দিয়ে পুনরায় চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় মহসিন ও মোয়াজ্জেমকে।
আদালতের ওই সূত্রটি আরও জানায়- মূলত ওই গৃহবধূর মেয়েকে ধর্ষণ করেন মামলার চার নম্বর সাক্ষী এমাদুল। এরপর পূর্বশত্রুতার জেরে তিনি এ ধর্ষণের অভিযোগ চাপিয়ে দেন তার প্রতিপক্ষ মহসিন ও মোয়াজ্জেমের কাঁধে। নির্দোষ দুই অভিযুক্তকে ফাঁসাতে তিনি সহায়তা করেন গৃহবধূকে। পরে মামলার বাদী আদালতে অভিযোগ করেন- এ মামলার সাক্ষী এমাদুল তার কন্যাকে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ধর্ষণের অভিযোগ তার প্রতিপক্ষ মহসিন ও মোয়াজ্জেমের কাঁধে তুলে দিতে নানাভাবে ভয় দেখান। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে মহসিন ও মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ঘটনা জানাজানির পর এ মামলায় সাক্ষী এমাদুল আটমাস কারাভোগ করেন। পরে আদালত বাদী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পযার্লোচনা করে এমাদুলকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। এ বিষয়ে আসামির আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন- এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। এখন পর্যন্ত রায়ের কপি আমরা পাইনি। রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- এটি একটি জঘন্যতম ঘটনা। প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে একটি স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিজে ধর্ষণ করে অন্যদের বিরুদ্ধে বাদীকে বাধ্য করে মিথ্যা মামলা করান। এই জঘন্যতম ঘটনায় এমাদুল হককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন আদালত।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com