বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
বরিশালে শিশুর লাশ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

বরিশালে শিশুর লাশ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

আনোয়ার হোসেন ॥ বরিশাল সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন কালাবদল নদীতে পরে ৫ বছর বয়সী শিশু জোনায়েত হোসেন (৫)। পরে তাকে তিন দিন পরে লাহারহাট ফেরিঘাট এলাকায় এক চরে লাশ দেখতে পান ওই এলাকার লোকজন। সোমবার ( ২ নভেম্বর ) চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডে কালাবদল নদীতে পরে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার সময় লাহারহাট ফেরিঘাটের বিপরীত পাশে চরের পাশে লাশ দেখতে পায় ওই এলাকার লোকজনে। এমন খবর শুনে শিশু জোনায়েত দাদা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার নাতীর লাশ দেখতে পায়। সেখান থেকে এলাকার মানুষের সহযোগীতায় লাশ তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান, শিশুর স্বজনরা কিন্তু বেলা ১২টা থেকে পুলিশের আসতে সময় নেয় বিকাল ৫ টা। এলাকাবাসী জানান, থানা থেকে চন্দ্রমোহনে আসতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। এইদিকে লাশের দুর্গন্ধ এলাকা ছেয়ে গেছে। খবর নেই পুলিশের? এ দিকে, নিহত শিশুটির স্বজনেরা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফন দিবে এই মুহুর্তে পুলিশ এতে বাধা দেয়। পুলিশ জোর করে লাশের ময়না তদন্তের তাগিদ দিলে স্বজনেরা অস্বীকৃতি জানান। এ সময় ময়না তদন্ত ও পুলিশি ঝামেলা এড়াতে একপর্যায়ে বন্দর থানার ওসি ও এসি বন্দর, উপ পুলিশ কমিশনার সহ সহকারী কমিশন ভূমিকে জানিয়ে শিশুটির লাশ দাফন দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। তবে পুলিশ এতে বাধা দেয়। এ সময় নিহত শিশুর পিতা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, আমার সন্তানের লাশ নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। তার পরেও পুলিশে সমস্য কেনও।
ঘটনাস্থলে মানবাধিকার কমিশনের কাউনিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দেখিলাম বেলা ১২ টা থেকে পুলিশের অপেক্ষা করেছে শিশুর স্বজনরা। কিন্তু বেলা ৫ টার সময় পুলিশ এসে লাশ নিয়ে তালবাহানা শুরু করছে।তিনি বলেন, বিষয়টি প্রথমে বন্দর থানার ওসিকে আমি ফোন দিয়ে বলি। পরে দেখি তার কাছ থেকে কোনও ভাল রেজাল্ট আসছে না। তখন বন্দর থানার এসিকে বলি তাতেও কোনও কিছুই হচ্ছে না। পরে উপ পুলিশ কমিশনারকে জানাই সেও এমন কিছু বলছে জটলা থেকেই যাচ্ছে। শেষ বারের মতো সহকারী কমিশন ভূমিকে জানাই সে বলে ওটা পুলিশের কাজ তারা যা করার করবে। এই বলে ফোনটা কেটে দেয় এসিল্যান্ড। তিনি আরোও বলেন, আসলে কি করতে চাচ্ছে পুলিশ বাহিনী কিছুই বুজিনা। তার ভীতরে পুলিশ কমিশনারকে ফোন তাকেও পাওয়া গেলেও না। সে আরোও বলেন, আসলে পুলিশের এমন ভুমিকা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। যেখানে স্বজনদের কোনও অভিযোগ নেই সেখানে পুলিশের তালবাহানা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে জানান তিনি। পরে শিশুটির লাশ দাফন দিতে দফায় দফায় নিহত শিশুটির স্বজনেরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এ নিয়ে পুলিশ ও স্বজনদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। ধস্তাধস্তির মধ্যেও শেষ পর্যন্ত শিশুটির লাশ ইউপি মেম্বারের জিম্মায় দাফন দেওয়া হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com