নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লামচরি গ্রামের দার্শনিক আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরী, সরকারী প্রার্থমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ লামরি গ্রামকে কির্তনখোলা নদীর কড়াল গ্রাস করার মুখ থেকে স্থায়ী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করার দাবীতে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে লামচরি এলাকাবাসী ও বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতি (চরবড়িয়া শাখা। রবিবার (৮ইÑ নভেম্বর সকাল ১১টায় কির্তনখোলা কোলঘেষা গ্রাম চরবাড়িয়ার লামচরির নদীতে গ্রাম,জমি ও ঘড়বাড়ি হারিয়ে নিঃশ হওয়া সাধারন অসহায় মানুষ এ কর্মসূচি পালন করে। চরবাড়িয়া ইউনিয়নের খেতমজুর সমিতির সভাপতি ও দার্শনিক আরজ আলি মাতুব্বরের নাতি শামীম আলি মাতুব্বরের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য উপাধাক্ষ হারুর উর রসিদ, বরিশাল খেতমজুর জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জলিলুর রহমান,সাধারন সম্পাদক শাহ আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বিরেন রায়, প্রচার ্র প্রকাশনা সম্পাদক নৃপেন্দ নাথ বাড়ৈ, খেতমজুর সমিতি স্থানীয় নেতা কালাম হাওলাদার ও এলাকাবাসি কবির হোসেন মৃধা।
এসময় নিঃস্ব অসহায় নদী ভাঙ্গলী মানুষগুলো স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে চরবাড়িয়ার লামচড়ি গ্রাম সহ দার্শনিক আরজ আলি মাতুব্বরের স্বৃর্তি শেষ চিহ্ন টুকু রক্ষা করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পাণি স¤পদ প্রতিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য কির্তনখোলা নদীর কড়াল গ্রাসে লামচরি গ্রামের নমপাড়া, মিরাকান্দা এলাকা সম্পূর্ণ নদীতে ইতি মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া দক্ষিণ লামচরি এলাকার সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয় ও লামচরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীতে যাতায়াত ও গ্রামবাসীর চলাচলের পাকা সড়কটির তিন কিলোমিটার পথ এবং বার থেকে চৌদ্দশত পরিবারের বসত ঘড় নদী গর্ভে চলে গেছে। সেখানকার মানুষ এখন চারদিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। অপরদিকে লামচরি গ্রামের তিন অংশের দুই অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে এখন মাত্র টিকে এক অংশ তাও যেকোন সময়ে নদীতে চলে গেলে চরবাড়িয়ার লামচড়ি গ্রামটির শুধু কাগজে-কলমে ইতিহাস হয়ে থাকবে
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন জোয়ারের পাণি বৃদ্ধিতে হঠাৎ করে ভাঙ্গন দেখা দেয়ার কারনে পাকা সড়ক সহ বিভিন্ন ঘড় বাড়ি নদীতে চলে গেছে। তিনি আরো বলেন ইতি মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম সাহেব দুই দুই বার পরিদর্শন করে তালতলি থেকে লামচড়ির সাড়ে ছয় কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করার প্রকল্প গ্রহন করেছে। তাছাড়া নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বাষ দিয়ে গেছেন।
Leave a Reply