রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
কাউখালীর সুপারি চাষীদের মুখে হাসি, মনে শঙ্কা

কাউখালীর সুপারি চাষীদের মুখে হাসি, মনে শঙ্কা

নুরুল্লাহ আল-আমিন, পিরোজপুর ॥ সুপারির জন্য বিখ্যাত উপকূলীয় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা। এ উপজেলার লোকজনের সারাবছরের আয়ের বড় অংশ আসে সুপারি বিক্রি থেকে। প্রতিবছরই এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে সুপারি সারাদেশে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু এবার সুপারির ফলন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
অর্থকরী ফলন সুপারীর বাম্পার ফলনে বাগান মালিকদের মুখে হাসি থাকলেও মনে রয়েছে শঙ্কা। সম্প্রতি দেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুপারি বাগানগুলোতে। প্রাকৃতিক নানান দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে সুপারির ফলন তথা উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যার ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। কালের বিবর্তনে ধান, পান হারিয়ে গেলেও লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে সুপারি। কাউখালী উপজেলায় ব্যাপক হারে সুপারির চাষ হয়ে আসছে। এখনকার সুপারি মানে ভাল বলে সুপারির বাণিজ্যিক বাজার গড়ে উঠেছে। এবার এ উপজেলায় সুপারি গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে। তবে সুপারির বাজার চড়া থাকায় চাষীরা সুপারিতে ভাল দাম পেলেও খুশী নন তারা ,কারণ ফলন কম হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন চাষীরা। স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, কাউখালী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সবক’টিতেই উৎপাদন হয় সুপারির। একসময় সারাদেশে সরবরাহ করা হতো কাউখালীর সুপারি। তবে সেই অবস্থা না থাকলেও এখনো প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে সুপারি কাউখালী থেকে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার সুপারির ফলন নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়তে হচ্ছে সুপারি উৎপাদকদের।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সুপারি একটি অর্থকরী ফসল। আপদকালীন সময়ে সুপারি বিক্রি করে সংসরের চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের। সুপারির চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন সুপারি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারি কেনা- বেচা হয় কাউখালীতে। কৃষক ও সুপারি ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, দেশে সুপারির অন্যতম উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের কাউখালী সুপরিচিত। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত সুপারির বড় অংশ দক্ষিণাঞ্চলের কাউখালীতে উৎপাদিত হয়। ফলে এখানে গড়ে উঠেছে সুপারির বাণিজ্যিক বাজার। উপকূলে সুপারির সবচেয়ে বড় মোকাম কাউখালী। দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি নিয়ে বিক্রির জন্য কাউখালী শহরে গড়ে ওঠা সুপারির হাটে আসেন। এখানে প্রতিসপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার দুই দিন সুপারির হাট বসে। তবে শুকনো সুপারির মূল মওসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় পর্যন্ত এবং কাঁচা সুপারির শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত। এ সময় বেশির ভাগ সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে ভারত সহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠান। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও এখানে আসেন সুপারি কিনতে। কাউখালী থেকে নিয়মিত সুপারি সংগ্রহ করেন। এখান থেকে প্রায় প্রতিদিন লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাকবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায় সুপারি।
কাউখালীর বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন জানান, কাউখালীতে প্রতি হাটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারির কেনা-বেচা হয়। প্রতি বছর এই মৌসুমে বিভিন্ন হাট থেকে সুপারি কিনে মজুদ করে থাকে। শুকিয়ে ও পানিতে ভিজিয়ে সুপারি সংরক্ষণ করা হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ সুপারি এলসির মাধ্যমে ভারতে যাচ্ছে। তিনি জানান, গত মৌসুমে সুপারীর দাম ছিল অনেক ভাল। তবে এবার সুপারির দাম বাড়তির দিকে। বর্তমান মৌসুমে ২১ ঘা (২১০টি) এক কুড়ি কাঁচা সুপারির মূল্য শ্রেণী ভেদে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় অনেক বেশী। কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরিফ বলেন, মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com