স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি ॥ বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে প্রতি ইউনিয়নে দুই এক জন নেতাই যথেষ্ট। হোক সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের। আর সেই রকমই ঘটনা ঘটেছে সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে। টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে ইউনিয়নের জনপ্রিয় মহিলা মেম্বার সানজিদা খানম ও যুবলীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ আবু সাইদ আকনের সাথে। এলাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি বরাদ্বকৃত এল জি এস পির কাজ নিয়ে চরম দ্বন্ধ বিরাজ করছিল উভয়ের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে আরও বেগবান করার নিমিত্তে স্থানীয় মহিলা জনপ্রতিনিধি একটি পুলের কাজের বরাদ্দ পায়। নিয়ম নীতি মেনে চলে কাজ শুরু করার সাথে সাথে যুবলীগের নেতা মোঃ আবু সাইদ আকন ও তার ভাই রুহুল আকন প্রাথমিক ভাবে কাজ করতে বাঁধা দেয়। অথচ আবু সাইদ মনগড়া ও হীন স্বার্থের কারণে বাধা সৃষ্টি করে কাজ বন্ধ করার পায়তারা চালাতে কুন্ঠা বোধ করেননি। তবে এলাকার স্বার্থে বেশির ভাগ লোকজনের জন্য সত্যের পথে জয় হয় নারী নেত্রী ও জনপ্রিয় মহিলা মেম্বার মোসাঃ সানজিদা খানম পলির। আর সেই সূত্র ধরেই এলাকায় কমবেশি বিতর্ক সৃষ্টি করা যুব লীগের সভাপতি আবু সাইদ আকন।এ ব্যাপারে সারেংকাঠী ইউনিয়নের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম জানান, আসলেই আমাদের এলাকায় যুব লীগের নেতা মোঃ আবু সাইদ আকনকে নিয়ে কমবেশি বিতর্ক আছে। গত এম পির আমলে দারুণ বেপরোয়া ছিলো নানান বিষয়ে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলের গাছ কর্তন সহ বিক্রি নিয়ে দারুণ বিতর্কিত। এছাড়াও নানান কায়দায় কমবেশি চাঁদাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে মিডিয়াকে জানান, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এলাকায় এরকম দুই এক জন সাইদই যথেষ্ট। তবে ভিন্ন কথা বলেন সরকারি দলের কিছু সাধারন সদস্যরা। তারা বলেন বিরোধী দলের নেতাও মাঝে মাঝে মিথ্যা অপবাদ দিলেও দুঃখ থাকতো না। তবে মজার বিষয় সরকারি দলের নেতা হয়ে সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে নিজ এলাকায় দলীয় নারী নেত্রী ও মহিলা মেম্বারকে নিয়ে যত্রতত্র ভাবে বাজেকথা বলে এলাকায় পরিবেশ নষ্ট করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ সমাজ সেবা করে সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করে সকলের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সানজিদা খানম পলি মেম্বার। বিগত দুই বারের সফল মহিলা জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইউনিয়নের ৪নং, ৫ নং ও ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যে একটা বিশেষ গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে দারুণ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও প্রিয় মুখের নাম জনপ্রতিনিধি মোসাঃ সানজিদা খানম পলি। অবশ্য এ বিষয়ে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, এল জি এস পির কাজ আর নির্মাণের জন্য রেকর্ডিয় খাল ও সরকারি রাস্তা থাকা সত্বেও যুবলীগ নেতা ও তার আপন ভাই অহেতুক বাধা সৃষ্টি করেও শেষ পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম হয়নি। বরং অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিতেও কার্পণ্য বোধ করছে না সাইদ। দিনের পর দিন কুুুৎসা রটনা তৈরি করে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এ ব্যাপার যুুুুবলীগের নেতার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন গণ মাধ্যম কর্মীরা। এক পর্যায়ে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। অবশ্য মেম্বার সানজিদা খানম পলির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে এলাকার বেশির ভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের এলাকায় এল জি এস পির কাজ করা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় সাইদের সাথে। সাইদ দলের ও এলাকার কথা চিন্তা ভাবনা না করে অহেতুক মিথ্যা অপবাদ সহ কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যাবহার করে নিন্দিত হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে । অবশ্য এলাকার চেয়ারম্যান সমগ্র বিষয়টি এডিয়ে যান গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে।
Leave a Reply