বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
জগতে মানুষ বড় জটিল, তবুও অনুশোচনা নয়

জগতে মানুষ বড় জটিল, তবুও অনুশোচনা নয়

নজরুল ইসলাম তোফা: পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখা লেখি করতে করতে আটটা বছর কেটে গেল। সবই সাধারণ, তবে এ জগতের ‘মানুষরা জটিল’। তবু লিখছি, হয়তো আর লিখবো না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি কিন্তু অপর দিক থেকে আবার কেউ না কেউ সুড় সুড়ি দেয়, যে যাই বলুক না কেন- কখনো লেখা লেখিটা ছাড়বেন না। তবুও বলি- এরই মধ্যে কিছু কিছু অপূর্ণতা আমাকে জেকে বসেছে। যখন লিখতে বসি,- ঠিক তখন কতো কিছুই তো লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সব কিছুই কি আর লিখা যায়! সারা জীবনের বৈচিত্রময় গল্প, সেখানে কখনো ছন্দের মিল থাকে, আবার কখনো যেন থাকেও না। আমার নিজের জানতে ইচ্ছে করে,- মানুষের কেমন করে জীবন কাটে, অন্য মানুষের জীবনের দিন-রাতটাই বা কেমন। ভালো-মন্দ, হাসি-কান্না মিলিয়ে চলার পথটা কি মশ্রিণ না অমশ্রিণ। এ সব কি জানার ইচ্ছা আপনার কখনোই হয় না। আমার ভাবনার জগতেই বহু বার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অসাধু কিছু মানুষ’, তারা এই গুলো চান না। আত্মকথা বলার কি আছে অন্যকিছু নিয়ে আসেন। আত্মকথাগুলি নাকি তাদের কাছে প্যাঁচাল। ভুলে গেলে চলবে না, ”জীবন” দিয়েই কিছু। জীবন ছাড়া অন্য কিছু কি আসে। আপনার আমার এ সময়টা ছুটে চলে আপন গতিতে। ঝর্ণা যেমন চলার পথে কোথাও আঘাত কিংবা বাঁধা পেয়ে তৈরী করে ‘সরোবর’। আবার কোথাও গহীন অরণ্যের সৃষ্টি করে গড়ে তোলে ”গভীর খাঁদ”। মানুষরাও তেমনি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার পথে জেনে না জেনে বা বুঝে না বুঝে তৈরী করে কতো- “গৌরবময় সৃষ্টি”, আবার কখনো কখনো কুৎসিত কদাকার বীভৎস রূপের মাঝেই হাবু ডুবু খায়। এ সব জানার কি কোনোই দরকার নেই। কিভাবেই চিনবেন আপনার সঠিক পথ বা ভালো-মন্দ।
এ জীবনে বেশ কিছু কুৎসিত কদাকার বীভৎস মানুষের মাঝে মধ্যে প্রতিনিয়তই যেন হাবুডুবু খেয়েছি। উদাহরণ দিয়েই বলি, একব্যক্তি সারাজীবন মানুষের মঙ্গলজনক কাজে ট্রাক ভর্তি টায়ার বহন করে কিন্তু বিপদের সময়ে বা ট্রাকটি নষ্ট হওয়ার মুহূর্তে একটি টায়ারও তার কাজে লাগাতে পারেনি। ঠিক তেমনিভাবে জীবনটা পরিচালনা করার মুহূর্তে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সহ বহু পরিচিত ব্যক্তি ও লোকজন থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজনে সবাইকে পাওয়া যাবে সেটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আপনার অবদানটা যে কি ছিল তা কেউ মনে রাখবেনা, বরং আপনিই তাদের থেকে কি কি নিয়েছেন, সেটাই ভালো ভাবে মনে রাখবে কি়ংবা খোটা দিবে। সুতরাং এই জীবন নাটকের চেয়ে নাটকীয় কিংবা স্বার্থপরদের মিলন মেলা। বৃষ্টি এলে বুঝিয়ে দেয়, ঘরের ছিদ্র কোথায়। আর বিপদ আসলেই বুঝিয়ে দেয় আপন মানুষ কোথায়। তাই বলাই যায় যে “মানুষের বিপদ হলে বা প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অমানুষদের চেনা যায়।
আত্মকথার জীবনী লেখাটার বড় সমস্যা হলো, ইতিহাস অর গল্পের জগাখিচুড়ি পাকানোই বড় সমস্যা। সব কথা বলার মতো হবে না। কিছু থাকবে লুকিয়ে রাখার মতো, আর কিছুতে হয়তো বা চড়াতেই হবে- একটুখানি “রঙ”। বেছে বেছে কিছু টুকরা কাহিনী। কিছু থাকবে আভাসে, কিছুবা থাকবে আবরণের বাইরে খোলামেলা। জীবনের কিছু যায় সদরে, আর কিছু থেকে যায় অন্দরে। এভাবে হয়েছে গুণিজনের সাহিত্য। যাক! মাঝে মাঝে অভিমান হয় আর কখনোই লিখবো না, অনেক অসচেতন কিংবা হিংসুটে মানুষদেরকে ফেসবুক আইডি থেকে আনফ্রেড করে শান্তিতেই থাকতে চাইছি, আবার তা করেছি! কিন্তু সচেতন কিছু মানুষ কিংবা ভালো মানুষ আবারও ফিরে আনে। আবারও ভাবছি কিছু প্রেম ভালবাসা, বেশ কিছু স্মৃতিময় ঘটনা ও কিছু দুঃখ কষ্ট যা মানুষের সবসময়েই মনে থাকবে। এসব কিছুকথা নিতান্তই যেন সহজ সরল ভাবেই লিখবো।  তা যদি হয়েই যায়- একটা ধারাবাহিক রচনা, যাক না! সাহিত্যগুণ তাতে ইনশাআল্লাহ রাখবো।  থাকবে, ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা বা ছোট ছোট দুঃখ কথা। সেইখানে জীবনের সব কিছুতেই থাকবে স্বাভাবিকতার নান্দনিক ছোঁয়া। তাছাড়াও তাতেই থাকবে- হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, গান, কবিতা বা স্মৃতি। পরিশেষে আরো বলতে চাই, নিজের পৃথিবী, নিজের ইচ্ছা, নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেই চলতে হবে’, কাউকে আঘাত বা হিংসা করা সঠিক কাজ নয়। নিজের সিদ্ধান্তে কিংবা কর্মে বার বার হোছট খাওয়া ভালো। তবুও সঠিক মানুষের সঠিক কর্ম গুলোকে প্রসংশা না করি, নিন্দা যেন না করি।।
লেখকঃ
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com