দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশাল নগরীর প্রান কেন্দ্র চকবাজার মার্কেট থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশেন গেট পর্যন্ত অবৈধ ভাবে ফুটপাতে ভাসমান জুতার দোকান বসিয়ে দখল করে চালাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এতে করে নোংরা হচ্ছে নগরের পরিবেশ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল। সড়কের ওপর ফুটপাত দখল করে ভাসমান জুতার দোকান ব্যবসায়ীদের সাথে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চালকদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কোনো ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ করেন সাধারণ পাদুকা (জুতা) মালিক কল্যাণ সমিতির ব্যবসায়ীরা।
পাদুকা (জুতা) মালিক কল্যাণ সমিতির ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগে জানান, চকবাজার মার্কেট থেকে জেলা পরিষদ মার্কেট পর্যন্ত মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবিলা থেকে র্দীঘ প্রায় ৮মাস তারা ব্যবসায়ী ভাবে লোকসান দিয়ে আসছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশন এর (কর) থেকে শুরু করে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে ধার্য্যকৃত ট্রেড লাইসেন্স ফি, ভ্যাট, দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন সব কিছুই প্রতিশোধ করে নিয়মিত লোকসান দিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিরা ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাবে জুতার দোকান দিয়ে তাদের আরো ক্ষতির মূখে ফেলে রেখেছে।
যার কারনে ফুটপাতে ভাসমান জুতার দোকান থাকায় কেউ মার্কেট মূখি হচ্ছে না বলে ধারণা ব্যবসায়দের। এমন অবস্থান পাদুকা (জুতা) ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান দিয়ে বেকায়দার পড়তে হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়েছে দাড়িয়েছে তাদের পক্ষে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা পরিষদের পুরনো পাদুকা (জুতা) ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির , জামাল, মহসিন, রাসেল, আল আমিনসহ একাধীক ব্যক্তি জনসাধারনের চলাচলের ফুটপাত ও ড্রেন দখল করে অবৈধ ভাবে জুতার দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
জানা যায়, বিসিসি সংলগ্ন ফুটপাত অবৈধ জুতার দোকান উচ্ছেদ প্রসঙ্গে’ বরিশাল পাদুকা মালিক কল্যাণ সমিতি (রেজি নং ১৫৮২/০৯) এর সদস্যরা বিসিসির জনপ্রিয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কাছে গত ১০শে নভেম্বর একটি ৩১জন দোকান মালিক প্রতিবাদী স্বাক্ষরিত স্বরকলিপি জমা দেন।
জমা দেওয়ার ৯ দিনেও বিসিসি কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নি। তাছাড়া এভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলতে থাকলে চকবাজার ও জেলা পরিষদ মার্কেট ব্যবসায়ীদের (কর) বা ট্যাক্স ও কর্মচারীর বেতন দিতে বেকায়দায় পড়তে হবে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, চকবাজার থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের গ্রুরুত্বপূর্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে ও মার্কেট মূখি হয়। দখলকৃত ফুটপাত ঘিরে রয়েছে নগর ভবন, জেলা পরিষদ, পরিষদ মার্কেট সহ সরকারি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর অবস্থিত। ফুটপাত ও ড্রেন দখল করায় পথচারীদের সড়কের একাংশ দিয়ে চলতে হয়। যার কারনে সড়ক র্দূঘটনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শারমিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সড়ক ও ফুটপাত সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা ভাসমান দোকান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। এর ফলে নাগরিক সুবিধা নষ্ট হচ্ছে। সড়কের প্রায় অর্ধেকটা দখল করে চলছে জুতার দোকান সহ বেশ কিছু কাপড়ের দোকান। ক্রেতাদেরও বেশ ভিড় জমেছে এই ভাসমান দোকান গুলোতে। এতে সড়কটি সংকুচিত হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এবিষয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়াডের্র (বিসিসি আর.আই) শাখার কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এবিষয় বিসিসি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ চকবাজার ও জেলা পরিষদ মার্কেট ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply