এনএম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ দিনক্ষণ বেশ এগিয়ে আসছে সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের। সম্ভাব্য সময় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন সহ বাকী সব ইউনিয়নের নির্বাচন প্রায় চূড়ান্ত। অবশ্য পিরোজপর জেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস কার্যালয় থেকেও একই কথা বললেন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের। এদিকে সোহাগদল ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে সুকৌশলে আগাম নির্বাচনের দৌড় শুরু করে দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক। আর হ্যা আমরা প্রিয় পাঠকদের জন্য বলছিলাম সময়ের আলোচিত ও মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের আস্থা বাজন ইন্দেরহাট বন্দরের প্রিয় মুখ মোঃ সালাম রেজার কথা। সদা হাস্যউজ্জল ও উদার মনের শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবে সোহাগদল ইউনিয়নের মধ্যে একটা দারুণ গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। রাজনৈতিক পেক্ষাপটে চলতি সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় সোহাগদল ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বেশ এগিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ সহ সর্বদিক দিয়ে বেশ দক্ষতার ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বমহলে। যদিও ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকার টিকেট পাওয়া মানেই হল শতভাগ নিশ্চিত বিজয়। তবে ব্যাতিক্রমী উদাহরনও রয়েছে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে। গত নির্বাচনে শান্তিপ্রিয় ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম নৌকার টিকেট পেয়েছিল সারেংকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনে। সেখানে পরিকল্পিত ভাবে নৌকার পরাজয় ঘটিয়েছে সরকার দলীয় বেশকিছু বিপদগামী শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। অবশ্য সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক দক্ষতার বেশ ঘাটতি ছিল বলে ঐ ইউনিয়নের সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। তবে ব্যাতিক্রমী সোহাগদল ইউনিয়নের নির্বাচনের মাঠ। দক্ষতার দৃষ্টিকোন দিয়ে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সালাম রেজা অনেকের চেয়ে শীর্ষে অবস্থান। তাছাড়া মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত আস্থাশীল এবং সাবেক সংসদ অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যারের সাথে রয়েছে দহরমমহরম। আর সেই বিবেচনায় সালাম রেজা বেশ আগে ভাগেই আটঘাট বেধে নেমেছে সোহাগদল ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে। এ ব্যাপারে সোহাগদল ইউনিয়নের বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলেই আমাদের ইউনিয়নের নির্বাচন হবে বেশ কঠিন। কেননা এরিমধ্যে সরকারি দলের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রশিদ সহ মোঃ সরোয়ার হোসেন স্বপন, মোঃ শাহীন ও গণ মাধ্যম কর্মী মোঃ জাকির হোসেন মোল্লাও রয়েছে বিবেচনায়। তবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। তবে এটাও সত্য, ” নৌকা যার ভাগ্যে জুটবে সেই হবে আগামীর চেয়ারম্যান। নৌকার টিকেট পাওয়ার যুদ্ধে শেয়ানে শেয়ান খেলা হবে মাননীয় মন্ত্রীর টেবিল বৈঠকে। অবশ্য সময়ের দক্ষ রাজনীতিবিদ সালাম রেজাসহ বর্তমান চেয়ারম্যান, মোঃ সরোয়ার হোসেন স্বপন ও সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা প্রমুখ। অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় বেশ এগিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সালাম রেজা। রাজনীতির মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়ে আগে ভাগেই নির্বাচনের মাঠ গরম রাখার জন্য প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যত্রতত্রভাবে। তবে ইন্দেরহাট বন্দরের বেশীর ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রচার প্রচারণা সহ সর্বদিক দিয়ে বেশ আগানো সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সালাম রেজা। তাদের ভাষ্য, নিঃসন্দেহে সালাম রেজা বেশ এগিয়ে।সর্বশেষ পর্যায়ে কথা হয় আগামীর নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সালাম রেজার সাথে। জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে বরাবরই আমি রাজনীতির পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বত্র। ব্যাবসার পাশাপাশি রাজনীতির সাথে আমি সম্পৃক্ত আছি সব সময়। আমার কাজে কর্মে সব সময় মানবের কল্যাণে নিয়োজিত করা। আর এক প্রশ্নের জবাবে সালাম রেজা জানান, আমি আগেভগেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি এলাকার বেশীরভাগ লোকজনের বিশেষ অনুরোধে। অবশ্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের আর্শীবাদ নিয়ে আমি পুরোদমে মাঠে আছি। বাদ বাকী নৌকার টিকেট পাওয়ার পর চিন্তাভাবনা। ইনশাআল্লাহ আমি নৌকার টিকেট পাবো সকলের আর্শীবাদ নিয়ে।
Leave a Reply