রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ২২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে

ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ২২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে

গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি পৌরসভার ২২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংকের ভবিষ্যত তহবিল হিসাব থেকে ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ কর্মচারীর মধ্যে সাবেক এক মেয়রের স্ত্রী ও শ্যালক রয়েছে । এই ঘটনায় ২৬ নভেম্বর এক জরুরী সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । এর আগে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পৌর মেয়রের নির্দেশে ১১ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গত ২৩ নভেম্বর মেয়রের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) নামে রূপালী ব্যাংকে একটি হিসাব রয়েছে। এতে কর্মচারীদের বেতনের ১০% সহ মোট ২০% অর্থ এই হিসাবে জমা রাখা হয়। যা কর্মচারীরা চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার সময় পেয়ে থাকেন। তবে কর্মচারীরা এ তহবিল থেকে অবসরের আগেও লোন নিতে পারে। ব্যাংকের হিসাব থেকে টাকা উঠাতে চেকে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন। মেয়র জানান, কিন্তু চেকে আমার স্বাক্ষর জাল করে ট্রাক হেলপার মিলন হাওলাদার ও মর্তুজ আলী মোট ৫১ টি চেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১শত টাকা। স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আঃ সালাম সিকদার ১০ চেকে ১লাখ ৬৪ হাজার টাকা। টিকাদানকারী আমিনুল ইসলাম, সীমা রানী দাস, সুলতানা পারভীন ও রাশিদা খানম ১৩ চেকে মোট ২ লাখ ৫১ হাজার ১শত টাকা। কসাইখানা পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন ৫ টি চেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শত টাকা। রোলার চালক ফিরোজ খান, ইয়াসিন আরাফাত ৭ চেকে মোট ৮৭ হাজার ৫শত টাকা। নি¤œমান সহকারী ফোরকান আমিন ৪ চেকে ৩৬ হাজার টাকা। অফিস সহায়ক মোরশেদা খানম, চান মিয়া ও জাহাঙ্গির আলম ৭ চেকে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য সহকারী রিয়াজুল ইসলাম ২ চেকে ৩৬ হাজার। ট্রাক চালক শাকিব খান ২ চেকে ১৬ হাজার টাকা। সাবেক মেয়রের স্ত্রী ফটোকপি অপারেটর সামসুন্নাহার মারিয়া ১ চেকে ২৮ হাজার টাকা। কার্য্য সহকারী নাজমুল হাসান ১ চেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ লাইনম্যান সোহেল রানা ১ চেকে ১৮ হাজার টাকা। পাম্প চালক ইকবাল হোসেন ও সোহেল খান (সাবেক মেয়রের শ্যালক) ১৪ চেকে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা এবং বিল ক্লার্ক সাহাবউদ্দিন ৩ চেকে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে সর্বমোট উঠানো টাকার পরিমান ১৮ লাখ ২১ হাজার ২শত টাকা। মেয়র আরো জানান সম্প্রতি অফিস সহায়ক জাহাঙ্গীর আলম জাল স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংকে টাকা উঠাতে গেলে এই জালিয়াতির ঘটনা ধরা পরে। এর পরেই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ১৭ এপ্রিল ২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের হিসাব বিবরণী রূপালী ব্যাংক থেকে উঠালে বিবরণীতে মোট ১০৪ টি চেকে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে উল্লেখিত টাকা উঠানোর ঘটনা ধরা পরে।
পৌর সচিব শাহীন সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র মাহবুবুজ্জামানকে আহবায়ক করে গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, ভষ্যিত তহবিল হতে মেয়রের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যত ও আনুতোষিক তহবিল হিসাবের ব্যাংক বিবরনীতে এর প্রমান পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে কর্মচারীরা ট্রাাক হেলপার মিলন হাওলাদার ও মর্তুজ আলি তাদের চেকে মেয়রের স্বাক্ষর করিয়ে এনে দিয়েছে বলে জানায়।
অপরদিকে একটি সূত্রে জানাগেছে,বর্তমান মেয়র মো.লিয়াকত আলী তালুকদার পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পরই জাল স্বাক্ষর করে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে পৌরসভার সকল ব্যাংকের হিসাব ক্ষতিয়ে দেখলে আরো বড় কিছু ভেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন। প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে জাল স্বাক্ষর করার প্রবণতা। এই প্রবণতা শুধু কর্মচারী ছাড়াও আত্মিয় বা প্রতিপক্ষের কেউ করেছে কিনা তাহা জাচাই বাছাই করা একান্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হেলপার মিলন ও মর্তুজ আলী জানান, আমরা আমাদের চেকে মেয়রের স্বাক্ষর এনেছি। বাকিরা নিজেদের বাঁচাতে আমাদের নাম বলছে। রোলার চালক ইয়াসিন আরাফাত বলেন,আমরা আমাদের টাকা তুলেছি এবং মেয়রের স্বাক্ষর নিয়ে তুলেছি। ২৬ নভেম্বর পৌরসভার জরুরী সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর, সাময়িক বরখাস্ত এবং কেন তাদের স্থায়ী বরখাস্ত করা হবেনা সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে সর্বসম্মতিক্রমে নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সালাম সিকদার বলেন , এসব চেকে মেয়র স্বাক্ষর করলেও পৌরসভার নথীতে তা উল্লেখ না থাকায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com