নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরিবেশগত সমস্যায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরের নব্যতা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদীতে নৌ বন্দরের মূল বেসিন সহ আশপাশের এলাকায় পলিথিন আর প্লাস্টিকের বোতলের আস্তরণ ভেদ করে পলি অপসারন অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এসব পলিথিন আর প্লাস্টিকের বর্জ্য ড্রেজারের কাটার ও সাকশন পাইপে আটকে গিয়ে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার পলি অপসারন করে বন্দরের নব্যতা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও বিলম্বিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ‘র পাশাপাশি বন্দর ব্যাবহারকারীরাও যথেষ্ঠ দু”শ্চিন্তায় রয়েছেন। কারন আসন্ন প্রায় শুষ্ক মৌসুমের আগেই পলি অপসারন করে নাব্যতা উন্নয়ন করতে না পাড়লে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম এ নদী বন্দরের পরিচালন ব্যবস্থা যথেষ্ঠ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে শংকিত ওয়াকিবাহল মহল।
বিগত বছরগুলোর মত গত সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল বন্দরের নব্যতা সংকট শুরু হয়। বন্দরের নৌ টার্মিনালের মূল বেসিনে নব্যতা ৮ ফুটের নিচে নেমে আসায় বিআইডব্লিউটিএ জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজার নিয়োগ করে অক্টোবরে ২০ তারিখ থেকে পলি অপসারন শুরু করে। প্রায় দেড়লাখ ঘন মিটার পলি অপসারনের লক্ষে বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে নৌ টার্মিনালের সামনের মূল বেসিনের প্রাথমিক স্তরের পলি অপসারন সম্পন্ন করে একতলা লঞ্চ ঘাটের সামনে ড্রেজিং করছে। কিন্তু পুরো টার্মিনালের সামনে কির্তনখোলা নদীর তলদেশে পলিব্যাগ আর প্লাস্টিকের বোতলের বিশাল আস্তরন ভেদকরে পলি অপসারন করতে গিয়ে ড্রেজার পর্যন্ত বিকল হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ঝুকিপূর্ণ যে, প্রতিদিনই গড়ে ৫-৭ বার পর্যন্ত ডেজ্রার বন্ধ করে কাটার ও সাকশন পাইপ পরিস্কার করে আবার ড্রেজিং শুরু করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল সময়ও নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে ড্রেজারের কাটার সহ সাকশন পাইপ।
তবে এরপরেও বিআইডিব্লিউটিএ‘র দায়িত্বশীল মহল ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় স্তরের পলি অপসারন করে বরিশাল বন্দর পরিপূর্ণভাবে সচল রাখার ব্যপাওে আশাবাদি । দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশাল নদী বন্দরে প্রতিবছরই সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকেই নব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিএ বিপুল অর্থ ব্যায়ে পলি অপসারন করে বন্দর সচল রাখার চেষ্টা করলেও বছর ঘোরার আগেই পুরনো সংকটে ফেরে এ নদী বন্দর। পরিস্থিতি উত্তরনে আজ পর্যন্ত নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট বা আইডব্লিউএম-এর মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ মডেল স্ট্যাডি‘র মাধ্যমে কির্তনখোলা নদী খননের কোন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ‘র দায়িত্বশীল মহল থেকেও কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কতৃপক্ষ নৌযানের যাত্রী সহ নদী ব্যবহারকারীদের কোন ধরনের পলিব্যাগ সহ পানিয়র বোতল নদী না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।
Leave a Reply