অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহে সোর্স হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবহার করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। লিখিত কোনো নিয়োগ না থাকলেও অপরাধী গ্রেপ্তারে এসব সোর্সই মূল ভরসা পুলিশ কর্মকর্তাদের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে সোর্সরা। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে এমন কয়েকটা অপরাধ প্রকাশ্যে আসলেও বেশির ভাগই থেকে যাচ্ছে আড়ালে। মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটনের ভাষ্য, সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকায় পুলিশের সোর্স বিষয়টি জবাবদিহিতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ সুযোগে সোর্সরা অনেক সময় পুলিশকে ব্যবহার করে ফেলে। পুলিশও সোর্সদের দেয়া তথ্য যাচাই না করেই অভিযান চালায়। যাতে অনেক নিরীহ মানুষ বড় ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
সোর্সের বিষয়টি সিএমপিতে আলোচনার জন্ম দেয় চট্টগ্রামের আলোচিত পুলিশ সুপার (অব.) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায়। ২০১৬ সালের ৫ই জুন নগরীর জিইসি মোড়ে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যার নির্দেশদাতা ছিল তারই সোর্স আবু মুছা। অস্ত্র সরবরাহ করে অপর সোর্স এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা। যেই অস্ত্রে খুন হন মিতু। সিএমপিতে এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশের সোর্সরা। কয়েকটি প্রকাশ্যে আসলেও অনেক ঘটনা থেকে গেছে আড়ালে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, পুলিশ রাজনৈতিক দলের কর্মী, বিভিন্ন ছোট অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়া দাগী আসামি, স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে। বিশেষ করে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তারাই এসব সোর্সকে কাজে লাগান। এমনকি অনেক সোর্সের কাছে থানা পুলিশের দেয়া বিশেষ চিহ্নযুক্ত সোর্সের পরিচয়পত্রও আছে!
Leave a Reply