পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার প্রধান আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা ভাবনা করে দারুণ হার্ড লাইনে অবস্থান নিয়েছেন। বিগত সময়ের সফলতা ও ব্যার্থতার কথা মাথায় রেখে সমগ্র বাংলাদেশের পৌর নির্বাচন সহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশ শক্ত। আর সেই কারণে আওয়ামী সরকার দলের কথা চিন্তা ভাবনা করে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে গুয়ারেখা ইউনিয়নের বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের কথা তুলে ধরলাম পাঠকের সন্মানে।
গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গুয়ারেখা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু হীরা লাল বডাল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলের ক্ষতি সাধন করেন। আবার গত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে গিয়ে নৌকার ক্ষতি সাধন করেন বর্তমান চেয়ারম্যান শুভ্রত ঠাকুর। এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের ইউনিয়নে এহেনও ক্ষতি সাধন করা নেতাদের বর্জন করা দরকার। পাশাপাশি দল থেকে এদের বহিষ্কারও করা দরকার বলে মনে করেন। তবে ইউনিয়নের বেশীরভাগ হিন্দু ভোটাররা পরিবর্তনের আশায় নুতন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। নুতন মুখের সন্ধানে প্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছেন যত্রতত্র ভাবে। এলাকার শান্তিপ্রিয় হিন্দু ভোটাররা মিডিয়াকে জানান, আমরা এবারের নির্বাচনে পরিবর্তন চাই। আর সেই আশা নিয়ে সামনের দিকে আগাচ্ছি। এদিকে এলাকায় সাধারণ মানুষ অকপটে বলেন, সফলতা নয় বরং ব্যার্থতার ষোলকলা পূর্ণ হল গত ১৫ বছরে গুয়ারেখা ইউনিয়নে । বিশাল সহ ভরত কাঠী ও গয়ারেখা এলাকায় তেমন কোন রকম উন্নয়ন হয়নি। আর একথা গুলো বলেন ইউনিয়নের বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন। বর্তমান চেয়ারম্যানের ক্ষামখেয়ালি পণার কারণে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এদিকে বর্তমান সময়ে সাদা মনের মানুষ ও শান্তির প্রতিক মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়েও এখন পর্যন্ত তেমন কিছু করতে শতভাগ ব্যার্থ। অবশ্য বর্তমান চেয়ারম্যান শেষ সময়ে ব্যার্থতার ষোলকলা নিয়ে নিরাশ করেছে সমগ্র ইউনিয়ন বাসীদের। আর সেই কারণে সমগ্র ইউনিয়নের বেশীরভাগ লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুররের কাছ থেকে। আর সেই কারণে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা আগেভাগেই আটঘাট বেধে নেমে পড়েছি এলাকার কীর্তি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারকে নিয়ে। আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে। করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত না হলেও বর্তমান সময়ে করোনার প্রকোপ অতি মাত্রায় বৃদ্ধি না পেলে আগামী মার্চ এপ্রিলে নির্বাচন হবে বলে জানা যায়। অবশ্য জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকেও একই কথা বললেন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের। এদিকে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ৭ নং গুয়ারেখা ইউনিয়নে। আগাম নির্বাচনের হাওয়া ইতিমধ্যে বইতে শুরু করেছে এলাকার বেশীরভাগ চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায়।গত কয়েক বছর যাবত বর্তমান চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণেও শতভাগ ব্যার্থ বলে কয়েক শতাধিক মুসলিম ও হিন্দু ভোটাররা মিডিয়াকে ক্ষোভের সাথে জানান। আর সেই সূত্র ধরেই এলাকার বেশীরভাগ শীর্ষ নেতাসহ সুশীল সমাজের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরিবর্তনের আশায় আগাম নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে যত্রতত্র ভাবে। সাধারণ মানুষ আগে ভাগেই আটঘাট বেধে নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়। সকলের মুখে একটি শ্লোগান ” পুরনো চেয়ারম্যান নয় বরং নতুন হবে ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী “।অবশ্য চারিদিকে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা নিয়ে।
আর এ ব্যাপারে সকল জল্পনা কল্পনার সাথে সাথে আলোচনায় আছেন ৭ নং গুয়ারেখা ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার। সন্মানিত ভোটাররা পরিবর্তনের আশায় বিগত দিনের কর্মকান্ডে খুশী হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারকে নিয়ে নুতন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে । দলমত নির্বিশেষে হিন্দু ভোটারদের পাশাপাশি মুসলিম ভোটাররাও পরিবর্তনের আশায় একজোট হয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছে। যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্মানে নৌকার টিকেট পাওয়ার যোগ্য দাবিদার মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার। এলাকার বেশীরভাগ মানুষ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার এক কথায় সুন্দর ও চমৎকার মানুষ। সমগ্র পরিবার হলো সুশিক্ষায় শিক্ষিত। রাজনীতির পাশাপাশি উপজেলার মধ্যে একজন পাকাপোক্ত প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজে তিন তিন বার বিদ্যুৎসাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও এগারোগ্রাম স্কুলেও একবার বিদ্যুৎসাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার স্বার্থে বহু রাস্তাঘাট নির্মাণ সহ চার পুলের সংস্করণ করে আসছে । বহু হিন্দু ভোটাররা মিডিয়াকে জানান, গত করোনার দুঃসময়ে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার নিজস্ব তহবিল থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসেন। হত দরিদ্র পরিবারের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করে ইতিমধ্যে একটা সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। তবে ভিন্ন কথা বলেন বরতকাঠীর বহু লোকজন। তারা অকপটে স্বীকার করেন বর্তমান চেয়ারম্যান শুভ্রত ঠাকুরের চেয়ে শতভাগ যোগ্য উন্নয়নের রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার। তাই আমরা সহ বেশির ভাগ লোকজন সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মত যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়া উন্নয়ন করার মত যোগ্য প্রার্থী চান।অসীম সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসবেন সকলের ভালোবাসা নিয়ে। আমরা এমন একজন পাকাপোক্ত ও যোগ্য প্রার্থী চাই যে চেয়ারম্যান হওয়ার পর শালিসি বৈঠকে প্রকৃত অপরাধীর কঠিন শাস্তির বিধান করতে পারবে। ইউনিয়নের সমস্যা পরিষদে বসে সমস্যার সমাধান করে ফেলতে হবে আর আমরা সেই ধরনের যোগ্য প্রার্থী চাই পরিবর্তনের আশা নিয়ে।সব মিলিয়ে চারিদিকে রব উঠেছে নুতন প্রজন্মের ভোটার সহ প্রবীণ ভোটারদের মধ্যে। সকলের প্রাণের দাবি, সাহসী, সৎ ও মার্জনীয় উন্নয়ন করতে সক্ষম এমন একজন প্রার্থী দরকার। আর সেই বিবেচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন।
এদিকে সময়ের আলোচিত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের সাথে কথা হয় জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, আমি বরাবরই মানবতার সেবায় নিয়োজিত। এলাকার স্বার্থে আমি বরাবরই নিবেদিত প্রাণ। আর এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমি নৌকার টিকেট পাওয়ার জন্য যোগ্য দাবিদার। ইউনিয়নবাসীরা আমাকে ভালোবাসে এবং সেই ভালবাসার টানে নৌকার টিকেট পেয়ে আমি ইউনিয়নবাসীদের একটা রোল মডেলে পরিনত করবো ইনশাআল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শীবাদে নৌকার টিকেট নিয়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নবাসীদের খেদমত করবো সকলের আর্শীবাদ নিয়ে।
Leave a Reply