নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ শৈত্যপ্রবাহের কারণে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় কমেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই তিনদিন থাকবে। এসময়ে তাপমাত্রাও কমতে পারে আরও। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আজ ভোর ছয়টায় রাজধানীতে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। এসময় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। যা চলতি মাসে দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাওসার পারভিন বলেন, ‘গতকাল থেকে দেশে একটি মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ চলছে। পাশাপাশি বাতাসও প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন এই শৈত্যপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে শৈত্যপ্রবাহ কমে শীতের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থান করবে।’
‘আগামী দুই থেকে তিন দিন দিনের বেলা সূর্য থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। কিছুটা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের এলাকা, ঢাকা বিভাগের জেলাসমূহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শনিবারের ঢাকা বিভাগের টাঙাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও নিকলীতে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। সিলেট বিভাগে সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি। আর চট্টগ্রামের প্রতিটি জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে ছিল। বিভাগে সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকু-ে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি। বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে তিন জেলার সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও ভোলার সর্বোনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯ এর ঘরে।
Leave a Reply