দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির জানান, মরদেহ দেশে আসার পর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। এরপর আগামীকাল শুক্রবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে নোয়াখালীতে লাশ নেয়া হবে। এরপর কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মাঠে সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশেই শায়িত হবেন প্রবীণ এ রাজনীতিক। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, এটা ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেবের অসিয়ত ছিল। তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে যেন সমাহিত করা হয়। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর মরদেহ তার চিরচেনা কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেয়া হবে শুক্রবার। সেখানে তার নামাজে জানাজা শেষে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার মওদুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মওদুদ আহমদের প্রথম জানাজা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরে সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট এবং বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বিকেলে সাড়ে ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর নিজের বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজ হবে। এরপর তাকে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্রবীণ রাজনীতিক। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চার্লস থোর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে গত ২৯ ডিসেম্বর মওদুদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। ১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
Leave a Reply