পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ আগামী ১৬ই জানুয়ারী পিরোজপুর পৌর সভার নির্বাচন। তাই চূড়ান্ত হয়েছে কে কে আছেন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে। যদিও চলতি সময়ে রাজনৈতিক ইমেজ তৈরী করে দলীয় প্রতিক পাওয়ার দারুণ কারিশমা দেখিয়েছে জনপ্রিয় জেলা বি এন পির নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম। দলের নীতি ও আদর্শ নিয়ে সুকৌশলে আগাচ্ছে আপন মহিমায়।অবশ্য পিরোজপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ বড়ই নির্দয়ও বটে। আর সেই বিবেচনায় দলীয় করনের হিসাব নিকাশ মিলতে দারুণ বেগ পেতে হয় পিরোজপুর পৌর সভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আসলেই জেলার রাজনীতির মেরুকরণ বড়ই কঠিন বটে। গানিতিক হিসাব নিকাশ আর বাস্তব মুখি নিকাশ মিলাতে কঠিন ব্যাস্ত সময় পার করেছে পিরোজপুর পৌর সভার সন্মানিত ভোটাররা। যদিও সরকারি দলের মনোনয়নের হিসাব নিকাশ নিয়ে জেলার বাঘা বাঘা নেতাদের ঘাম ছুটেছিল গত কয়েক মাস ধরে । অবশ্য যোগ্য প্রার্থী দিয়ে সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা হাফ ছেড়ে বেচেছেন। অবশ্য জেলার বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান,এবারের মত টানটান উত্তেজনা বিরাজ করেনি সরকার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে।সেই তুলনায় বি এন পির প্রার্থী অতটা বেগ পেতে হয়নি । তবে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যে সকল জল্পনা কল্পনাকে পিছনে ফেলে আপন মহিমায় নেতৃত্বের কারিশমা দেখিয়ে পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে শতভাগ যোগ্য আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক। বর্তমান পেক্ষাপট অনুযায়ী সরকারি দলের মধ্যে যোগ্য ও শক্ত অবস্থান নিয়ে পৌর নির্বাচনে ভোটারদের কাতারে রয়েছে সর্ব শীর্ষে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি বেশ পরিপক্ব অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ভিন্নতা রয়েছে শুধু পিরোজপুর জেলা বি এন পির রাজনীতির মাঠে। শক্তি মাত্রার বিচারে পিরোজপুরে বি এন পির অবস্থান বেশ নড়েচড়ে। তার উপর আবার বিরোধী দলের অবস্থান।সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিক পাওয়ার পর সুকৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে পৌর সভার প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে। চলতি সময়ে পিরোজপুর পৌর সভার প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে গোছানো নয় পৌর বি এন পির রাজনৈতিক মাঠ। তবে জেলা বি এন পির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দলের হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইতিমধ্যে। জেলা বি এন পির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে দারুণ মনিটরিং করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। তবে সরকার দলীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জনপ্রিয় কর্মী বান্ধব মেয়র রয়েছে দারুণ খোশমেজাজে। দলের পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও কর্মীরা । যদিও মাননীয় মন্ত্রী, সাদা মনের মানুষ এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের অনুসারীরা একটু ধীর গতিতে আগাচ্ছে। কর্মী বান্ধব আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক আগে বাগেই শক্তশালী কর্মী বাহিনী নিয়ে সমগ্র পিরোজপুরের রাজনীতির মধ্যে একটা শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম। অবশ্য সেই তুলনায় বি এন পির প্রার্থীর অবস্থান অতটা পাকাপোক্ত বলয় তৈরী করতে সক্ষম হয়নি। তবে ব্যাক্তিগত ইমেজের ঘাটতি নেই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। এ ব্যাপারে পৌর নির্বাচনে পৌরবাসীরা গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, সুষ্ঠ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার নির্বাচন হলে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হবে বি এন পির পৌর মেয়র প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম। তবে মাঠ পর্যায়ে সরকার দলীয় নেতাদের দখলে সমগ্র পিরোজপুর পৌরসভার অলিগলি। বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ হবে কিনা তা আগাম বলা মুসকিল। তবে বি এন পির চেয়ে সর্বদিক দিয়ে কর্মী বান্ধব মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক বেশি জনপ্রিয়। শতভাগ নিশ্চিত বলা যায় নৌকার বিজয় হবে পিরোজপুর পৌর সভার নির্বাচনে। তবে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বি এন পির জনপ্রিয় নেতা ও পৌর মেয়র প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে কথা হয় ধানের শীষের প্রতিক পাওয়া মেয়র প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি অকপটে জানান, আমি মহান আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। এরপর দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাবরে স্বরন করি। দল আমাকে যোগ্যতার বিচারে ধানের শীষের প্রতিক দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি মেধাবী রাজনৈতিক নেতা বি এন পির আগামীর কান্ডারী বাংলাদেশের সম্পদ তারেক রহমানের কাছেও আমি দায়বদ্ধ হয়ে গেলাম। সর্বশেষ জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছেও আমি দারুণ কৃতজ্ঞ। সকলের আর্শীবাদ নিয়ে আমি ধানের শীষের প্রতিক পেয়ে পৌর নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। সর্বশেষ পর্যায়ে আমি দলের আদর্শ নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থেকে দলের কর্মীদের ভোট নিয়ে ভোট যুদ্ধে থাকবো। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমি দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকবো পৌর নির্বাচনের মাঠে।
Leave a Reply