দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি হত্যা মামলায় আসামি করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী হাওলাদার ও তাঁর পরিবারের ১৮ জনকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদ সম্মেলেনে বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি নলছিটির দপদপিয়া গ্রামে আনিছুর রহমান রুম্মান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ৭২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মামলায় ৬০ বছর বয়স দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে। প্রায় এক মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এখনো তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী মিঠু বিশ্বাস নানা ষড়যন্ত্র করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। মিঠু একজন সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিপক্ষকে এলাকা ছাড়া করতেই হত্যা মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এতে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুণ কুমার রায়। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী হাওলাদারের মেয়ে আফরোজা আক্তার লাকি ও মারুফা আক্তার পপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম এ বায়েজিদ, ডেপুটি কমান্ডার দুলাল সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, শামসুল আজিম, সত্যবান সেন গুপ্ত, আবুল বাশার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে আল মামুন (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে রুম্মানকে। অথচ মামলায় আসামি করা হয়েছে ২২ জনকে। আল মামুন বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। এছাড়া আসামিদের মধ্যে ১৮ জনই বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কেউ জড়িত নন। মামলার বাদী ও তাঁর সহযোগীরাই রুম্মানকে হত্যা করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত নয়, তাদের অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধারা। মামলার বাদী মিঠু বিশ্বাস বলেন, যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। কাউকে হয়রানির জন্য আসামি করা হয়নি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করছে। আশাকরি তাঁরাই সত্যতা বের করে আনবেন।
Leave a Reply