গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রী‘র ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের পাকমহর গ্রামের মোকছেদ আলী কাজীর ছেলে রহিম কাজী (২৩)কে ঢাকার দক্ষিনখান থেকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (৫ ফের্রুয়ারি) রাত ১০.৩০মিঃ এর সময় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনছারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর সাথে রহিম কাজীর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক ছিলও। গত ২৮/০৯/২০২০ইং তারিখ রাত ১২টার সময় ফোন করে বাদীকে ঘরের বাহিরে আসতে বলে। বাদী উত্তরে বলে,কেন এত রাতে আসবো? রহিম কাজী বাদীকে জরুরী কথা আছে বলে,ঘরের বাহিরে আসতে বলে। উক্ত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রহিমের কাথামত ঘরের বাহিরে আসলে,রহিম বলে আমার সাথে চলো। বাদী‘নি রহিমের কথামত তার পিছু পিছু হাটতে থাকে। পাকমহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে যায়। এরপর আসামি রহিম কাজী মেয়েটিকে বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে চায়। রহিম কাজীর প্রস্তাবে রাজি না হলে,তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে বাদিনীর এজাহারে উল্লেখ করে। এ ঘটনায় পরদিন সকালে ঝালকাঠি সদর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন বাদিনী। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ মামলা নম্বর ১৬ তারিখ ২৪/১০/২০২০ইং ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনছারুল হক জানান, আমরা মামলা রেকর্ড হওয়ার পর থেকেই আসামিকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতারের চেষ্টা করি। কিন্তু আসামি চতুর প্রকৃতিক হওয়ায় কৌশলে ঢাকার দক্ষিনখান এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তিতে অনেক প্রচেষ্টার পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫/০২/২০২১ইং তারিখ রাত্রে তাকে গ্রেফতার ঢাকার দক্ষিন খান এলাকাথেকে আটক করি। এবং গত ৬ তারিখ দিবাগত রাত্রে ঝালকাঠি থানায় আসি ও ৭ ফের্রুয়ারি সকালে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Leave a Reply