শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
নিজের স্ত্রীকে অপহরণের দায়ে স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড!

নিজের স্ত্রীকে অপহরণের দায়ে স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড!

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ প্রথম স্বামী জাকিরের অত্যাচারে সংসার ছেড়ে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ফতিমা বেগম নামে বরগুনার এক নারী। তাদের নয় বছরের সংসারে রয়েছে দুটি সন্তানও। অথচ স্ত্রীকে অপহরণের মামলায় স্বামী শাহ আলমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত। স্বামীকে কারামুক্ত করতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন ফাতিমা। হাইকোর্টে করেছেন জামিন আবেদন। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চে এর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার পূর্বের স্বামী জাকির হোসেনকে তালাক দিয়ে তার ঘর ছাড়েন বরগুনার ফাতিমা। তালাক দিয়ে বিয়ে করেন শাহ আলমকে। বিয়ের নয় বছর ধরে সুখে শান্তিতেই ছিলেন তারা। এই দম্পতির ৭ ও ৫ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু ২০১২ সালর ৫ মে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ফাতিমার সাবেক স্বামী মামলা করেন শাহ আলমের বিরুদ্ধে। সেই মামলার বিচার চলছে নয় বছর ধরে। এরইমধ্যে একাধিকবার ফাতিমা আদালতে বলেছেন, দ্বিতীয় স্বামী শাহ আলম তাকে অপহরণ করেননি। কিন্তু তার কথায় কর্ণপাত করেনি কেউ। দীর্ঘ শুনানি শেষে অপহরণের দায়ে শাহ আলমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ঘটনায় তাকে সহযোগিতার দায়ে আরও সাতজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফাতিমা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, আমাকে শাহ আলম অপহরণ করেনি। তাকে আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। ২০০৭ সালে জাকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহ আলমকে বিয়ে করি। দ্বিতীয় বিয়ের ৪-৫ মাস আগে জাকিরকে তালাক দেই। সে এখন আর আমার স্বামী নয়। যাকে অপহরণ নিয়ে এত কাহিনী, তিনি জবানবন্দি দেয়ার পরও কেন এমন রায়? এ প্রশ্নের উত্তরে আসামির আইনজীবীর অভিযোগ, এ মামলায় বিচারিক মনোভাব দেখাননি বিচারক। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, অপহরণ মামলার মূল বিষয়বস্তু হলো ২২ ধারার জবানবন্দি। ২২ ধারার জবানবন্দিতে ভিকটিম কী বললেন, এটাই মূল আলোচ্য বিষয়। ভিকটিমের বয়স ২৭ বছর, অর্থাৎ তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। তিনি আদালতে বলেছেন, আমি অপহৃত হইনি। আমি স্বেচ্ছায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। তাহলে সেখানে আর কিছু থাকার কথা না। এ মামলায় অনিবার্যভাবে খালাস দেয়া ছাড়া আর কোনো অপশনই থাকার কথা না- বলেন এ আইনজীবী। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালর ৫ মে ‘অপহরণের’ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় শাহ আলমসহ আট জনের বিরুদ্ধে বরগুনা উপজেলার পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন মো. জাকির হোসেন। অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী মোছা. ফাতিমা বেগমকে অভিযুক্তরা অপহরণ করেছেন। এ ঘটনায় মোছা. ফাতিমা বেগম বরগুনার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারার জবানবন্দি দেন। ওই বছরের ৩০ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সাত্তার শাহ আলমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বরগুনা এর বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং আসামি পক্ষ দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে। এর মধ্যে ভিকটিম ফাতিমা বেগম এক নং সাফাই সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি পেশ করেন। মামলায় সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক শেষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিচারক মো. হাফিজুর রহমান শাহ আলমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বাকি সাতজন আসামি প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে শাহ আলমের স্ত্রীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আপিল দায়ের করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com