পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় গ্রাম্য আদালতের রায় সহ ৪৪/৪৫ ধারার আইন উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে বলদিয়ার হাকিমের ছেলে জাহেরুলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এচক্রের মকবুল ও বাবুলের বিরুদ্ধে।বিগত সময় থেকে চলতি সময়ে নানান অপকর্ম করে বেআইনী ভাবে অন্যের বসতি জায়গায় ঘর নির্মাণ সহ অহেতুক মামলা মোকদ্দমা করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে উভয় চক্রের বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনা কে অতিরঞ্জিত করে একের পর এক দুর্নীতি সহ নানান কায়দায় অপরাধ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, গত ২০/১১/১৫ সালে মকবুল বাদী হয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ করেন। নেছারাবাদ থানার এস আই মোঃ শাহাবুদ্দিনের তদন্তে মামলা চূড়ান্ত ভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়।পরবর্তী সময়ে আবার মামলাবাজ হিসেবে মকবুল বাদী হয়ে ৪৪/৪৫ ধারায় মামলা করেন ২০১৫ সালের শেষ সময়ে। এখানে ও আসামি করা হয় মোঃ ওসমানকে। মামলার তদন্তে ন্যায়ের পক্ষে নির্দোষ প্রমানিত হয় সাবেক সেনা সদস্য মোঃ ওসমান। এদিকে এলাকার আর বদ চরিত্রের আপন ভাই বাবুলও শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছে না ওসমান কে। আপন রক্তের ভাই বাবুল হীন স্বার্থের জন্য আপন ভাই সহ কলারদনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম কে সন্মান দেখানি। অথচ দুই ভাই ওসমান ও বাবুলের মধ্যে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে তৎকালীন সময়ে দেন দরবার হয়। একপর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান দুই ভাইয়ের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ডিক্রি বা আদেশের জন্য সমাযোতা সাক্ষর করেন উভয়ই। অথচ কূটকৌশলী বাবুল পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান ও তার ভাই ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন জজ কোর্টে। চর বছর মামলা চলমান থাকার পর বদ চরিত্রের বাবুল মামলার মেরিট বুঝে গত ০৭/০১১/২০১৭ ইংরেজি তারিখে ৩০ নং আদেশের মামলা প্রত্যাহার করে নেন। ক্রয়সূত্রে ওসমান মালিকের হপয়ার পাশাপাশি আরও মালিক মকবুল ও বাবুলগংরা। তবে গত করোনার কঠিন দুঃসময়ে এ চক্রের অন্যতম ভিলেন জাহেরুল ৪৪/৪৫ ধারা উপেক্ষা করে ওসমানের বসতি জায়গায় বেআইনী ভাবে পেশী শক্তি দিয়ে ঘর নির্মাণ করার দুঃসাহস দেখায়। অথচ জাহেরুল একই খতিয়ানের অন্য জায়গায় জমি ক্রয় করেন। কিন্তু শয়তান রুপি মহুরির শয়তানি লেখনীর মাধ্যমে চৌহদ্দি করেন ওসমানের সীমানা কেন্দ্র করে। যদিও ওসমান আইনের আশ্রয় নিলে স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক ভাবে ঘর নির্মাণ করার সময়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু উভয়ের মধ্যস্ততায় স্থানীয় ভাবে শালিসি করার মিশনে বসেন। স্থানীয় শালিস গনদের সিথিলতায় আইন অমান্য কারী জাহেরুল ঘরের কাজ পুরোপুরি পাকাপোক্ত করে ফেলে। এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ মান্যরা লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে আমাদের এলাকায় কিছু কিছু অসৎ লোকজন সহ কিছু কিছু লোভী শালিসিগণদের ব্যাবসার নামে ওসমানের সাথে অমানবিক আচরণ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তার কারণে ৪৪/৪৫ ধারার আইন উপেক্ষা করার খল নায়ককে বেআইনী ভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে কৌশল অবলম্বন করে। বলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওসমান, বাবুল ও মকবুলের বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ভাবে পরিষদের আদালতে চার মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল স্বরূপ সুন্দর ভাবে জমি বন্টন ব্যবস্থা করে দেয় জমির পরিমাণ ও দাগ অনুযায়ী। তবে এ ব্যাপারে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন , আসলেই এদের মধ্যে কিছু কিছু লোক শয়তানকেও হার মানায়। সর্বশেষ জাহেরুলের আচরণও দারুণ প্রশ্নবিদ্ধ। ৪৪/৪৫ ধারা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ তারই জলন্ত প্রমান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও কৌশলে সকল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায়।এ ব্যাপারে গ্রামের অভিজ্ঞ মহল গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন,আমাদের গ্রামের তিন ভিলেন মকবুল,বাবুল ও জাহেরুল গংরা। অপর দিকে দারুণ প্রতারণার স্বীকার সাবেক সেনা সদস্য মোঃ ওসমান। এ ব্যাপারে প্রতারণার স্বীকার ওসমান মিডিয়া কে বলেন, আসলে আমি চরম ভাবে অতিষ্ঠ এচক্রের কাছে। বার বার অহেতুক হামলা ও হামলা করার মিশনে নেমেছে অহেতুক। আমি বরাবরই আইনের উপর আস্থাশীল। করোনার সময়ে ৪৪/৪৫ ধারার আইন উপেক্ষা করার অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া আসামী নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেওয়ার কারণ কি ? পাশাপাশি শালিশ বৈঠকের অবহেলার কারণ কি ? সর্বশেষ স্থানীয় প্রশাসন মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে সক্ষম হননি।
Leave a Reply