বিদেশ ডেস্ক ॥ ইমরান খান সরকার ক্ষমতায় আসার ৩ বছরের মধ্যে প্রথমবার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছে। এবার পাকিস্তান সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ-কে। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সেনেটের ভোটে পরাস্ত হন দেশটির অর্থমন্ত্রী। সেই পরাজয়ের পরেই নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটের পথে হেঁটে ইমরান খান নিজের ও তার দলের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। জানা গেছে, সেনেটে অর্থমন্ত্রী আব্দুল হাফিজ শেখের পরাজয় শাসকদলকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেয়। এই আসনে জয় পান ইউসুফ রাজা গিলানি। ওই ভোটে এক অবাক করা ফল দেকা গেছে। যেখানে, অর্থমন্ত্রী পান ১৬৪টি ভোট, অন্যদিকে ১১টি বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রার্থী গিলানি পান ১৬৯টি ভোট। ৭টি ভোট বাতিল করা হয়। সংসদের নিম্নকক্ষে এতদিন ইমরান খানের সমর্থনে ১৮০ জন ছিলেন বলেই খবর ছিল। কিন্তু উচ্চকক্ষের এই ফলাফলে নিম্নকক্ষে হিসাবটাও বর্তমানে সন্দেহাতিত রইল না। বিষয়টি নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ কুরেশি বলেন, ‘শক্তিশালী জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদের দ্বারা সেনেটের ভোট নির্ধারিত হয়। সংসদে ইমরান সরকার যে এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী, সেটা নতুন করে প্রমাণ করার জন্যই এই আস্থা ভোটের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। সরকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভোট হলে ৩৪২ সদস্যের নিম্নকক্ষের বেশিরভাগ ভোটই পাবেন ইমরান।’ যদিও সব আসনের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ সর্বোচ্চ আসন দখল করেছে। তাদের ঝুলিতে এসেছে ২৬টি আসন। কিন্তু উচ্চকক্ষে শাসক দলের সংখ্যাগিষ্ঠতা থাকা এখনও মুশকিল। তাই আইন পাশ করানোর ক্ষেত্রে ইমরানের সরকারকে নানারকম বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
Leave a Reply