ক্রীড়া ডেস্ক ॥ সাকিব আল হাসান না থাকা মানেই একাদশ গোছানোয় টানাপোড়েন। বোলার একজন বাড়তি নেওয়া হবে নাকি ব্যাটসম্যান? এবারও সেই পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য জানিয়েই দিলেন, কোন পথে এগোবেন তারা। বোলিং শক্তিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না দল। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে ব্যাটে-বলে বড় অবদান ছিল সাকিবের। এবার নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আরেক অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে নিউ জিল্যান্ডে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু চোটের কারণে তারও প্রথম ওয়ানডেতে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ডানেডিন থেকে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তামিম বললেন, এসব নিয়ে হাহুতাশ না করে দল চেষ্টা করছে বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে। “আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে, সব ক্রিকেটারকে সবসময় পাওয়া যাবে না। ইনজুরি বা অন্য নানা ব্যাপার থাকবেই। আমাদের এখন এভাবেই এগোতে হবে, যা আমরা করছিও, কোনো কারণে কেউ না খেলতে পারলে, সেটা আমি হই বা সাকিব বা মুশফিক, দল যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। হ্যাঁ, সাকিবের মতো একজনের বিকল্প পাওয়া সহজ নয়। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি যেন কেউ না থাকলে অন্যরা তা পূরণ করতে পারে।” ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সিরিজে সাকিব থাকায় ৫ জন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে একাদশ সাজানো ছিল সহজ। সাকিবের অনুপস্থিতিতে নানা সময় অলরাউন্ডারদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছে দল। তবে এবার নিউ জিল্যান্ডে বিশেষজ্ঞ বোলার কমানো হবে না বলে নিশ্চিত করলেন তামিম। “ আমরা অবশ্যই ৩ জন ফাস্ট বোলার নিয়ে নামছি, এতটুকু বলতে পারি। এরপর অলরাউন্ডাররা। অধিনায়ক হিসেবে আমি ৫ জন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলতে চাই। নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে ৪ জন বোলার নিয়ে খেলতে নামলে অনেক সময় তা কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ, মাঠ ছোট, বড় রানের ম্যাচ হয়। ৫ জন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটিই করতে যাচ্ছি।” নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে শনিবার, বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।
Leave a Reply