ক্রীড়া ডেস্ক ॥ প্রথম ওয়ানডেতে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর বাকি দুই ম্যাচের আগেও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলপতির কথার তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা গেল না। টানা তিন ম্যাচ হেরে সিরিজে ধবলধোলাই হলো টাইগাররা। এবার মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও তামিমের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল। সেই সঙ্গে ভরডরহীন ক্রিকেট খেলে জয়ের আশাও দেখছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। শনিবার বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘(ওয়ানডে সিরিজে) আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি। আমরা খুবই আশাহত। আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। অবশ্যই ভুলগুলো মাথায় রাখতে হবে, যাতে সেগুলো থেকে শিখতে পারি, তবে ফলাফলটা ভুলে যেতে হবে। এখানে জয়ের বিকল্প কিছু নেই। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতে হলে, প্রথার বাইরে ভাবতে হবে। অন্য ধরনের ক্রিকেট খেলতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা সবাই উন্মুখ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের সামনে জয়ের সুযোগ আছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে বড়-ছোট দল বলে কিছু নেই। র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হোক বা দশ নম্বর, নির্দিষ্ট দিনে যদি কোনো দল ভালো খেলে, এক-দুজন ব্যাটসম্যান দারুণ করে, দল হিসেবে আমরা যদি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারি, কাজে লাগানোর দক্ষতাটা যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারব-এটা আমাদের বিশ্বাস। ‘ আসন্ন সিরিজে সাফল্যের রেসিপিও বাতলে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। আর তা হলো ভয়ডরহীন ক্রিকেট। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তিনি নিজেই ৭৩ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কাও ছিল। হয়তো এমন আগ্রাসী ব্যাটিংই তিনি বাকিদের কাছ থেকে আশা করছেন। রিয়াদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে কোনো জড়তা না রেখে আমরা যদি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারি, ম্যাচের ফল পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের জয়ের ক্ষুধাটা এখনো তীব্রভাবে আছে। ইনশা আল্লাহ, কালকের ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলব। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আরও ভালো খেলতে হবে। আমাদের যে বোলিং ইউনিট আছে, মেহেদি, নাসুম, ফাস্ট বোলাররা, মিরাজ- সেটা ওদের আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট। ‘ ওয়ানডে সিরিজে ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে একই ভুল না করার দিকে জোর দিচ্ছেন তিনি, ‘এখানকার কন্ডিশন বরাবরই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এখানে অনেক বাতাস থাকে। অনেক সময় উঁচু ক্যাচ বা নিচু ক্যাচ আসবে, যেহেতু এখানে বল খুব তাড়াতাড়ি ভেসে আসে। এটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। এই ছোট ছোট সুযোগ যদি ঠিকভাবে নিতে পারি, ইনশাল্লাহ একটা পার্থক্য গড়ে দেওয়া সম্ভব। আমাদের হাতে জয় ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ফলে আমরা নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া যেকোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত। ’ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় হ্যামিল্টন সেডন পার্কে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি। এরপর আগামী ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল ন্যাপিয়ার ও অকল্যান্ডে গড়াবে বাকি দুই ম্যাচ।
Leave a Reply