বিদেশ ডেস্ক ॥ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সহিংসতার পরেও মিয়ানমারে প্রায় দুই মাস ধরে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। চলমান এ সংঘাতে শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। বুধবার ৯ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পরেও শুক্রবার মিয়ানমারের রাজপথে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এদিন সকালে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনের ব্যানারেও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ছাড়াও একাধিক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগের দিন সন্ধ্যায় মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চল থেকে শুরু করে কারেন ও শান দেশসহ পুরো মিয়ানমার জুড়ে রাতভর মোমবাতি মিছিল হয়েছে। এদিকে নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মিয়ানমারে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, এ পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু। অন্যদিকে সামরিক বাহিনী বলছে, বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। তবে দেশটির অধিকার রক্ষা গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)-এর দাবি, নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এএপিপি জানিয়েছে, ‘প্রতিদিনই মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটছে।’ ২৫ মার্চ পর্যন্ত গ্রুপটি ৩২০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড নথিভুক্ত করেছে। অলাভজনক এই গ্রুপটির দাবি অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এএপিপি বলছে, নিহতদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশেই তাদের গুলি করা হয়েছে বলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে। নিহতদের প্রায় ৯০ শতাংশই পুরুষ। আর ৩৬ শতাংশের বয়স ২৪ বছরের কম। এই মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দমন করতে সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যার কৌশল প্রয়োগ করছে বলে সবকিছুতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
Leave a Reply