ক্রীড়া ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ংয়ের ঝড় থামাতে পারেননি মুস্তাফিজ-শরিফুলরা। ওদিকে আবার মাহমুদুল্লাহ-মিঠুনরা বুঝেই উঠতে পারেননি ইশ শোধির লেগ স্পিনের ঘূর্ণি। হ্যামিলটনের সিডন পার্কে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচের ফলটা তাই অনুমিত। ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডেই টসে হারেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ম্যাচের ভাগ্যও ঘোরেনি দলের। শুরুর টি-২০ তেও টস হার দিয়ে শুরু, ম্যাচ হার দিয়ে শেষ বাংলাদেশ দলের। টস জয়ী কিউইরা প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ২১০ রান। জবাব দিতে নেমে ৪৪ রানে ৪ এবং ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৮ উইকেটে ১৪৪ করাই যেন অনেক! শোধির বলে শুরুতে উইকেট হারানোয় ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই লেখা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধান কমিয়েছেন আফিফ হোসেন ও সাইফউদ্দিন। তারা দু’জন জুটি গড়ে যোগ করেন ৬৩ রান। আফিফ ৩৩ বলে খেলেন পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস। সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে ৩৪ বলে তিন চার ও এক ছ্ক্কায় আসে ৩৪ রান। তার আগে তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ করেন ১৮ বলে ২৭ রান। আর কেউ উইকেটে দাঁড়াতেই পারেননি। লিটন দাস আউট হন ৪ রানে। এরপর শোধির বলে আনকোরা আউটে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার (৫), মোহাম্মদ মিঠুন (৪) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১১)। কিউই লেগির বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন শেখ মাহেদি। তার চার উইকেটের তিনটিই বোল্ড। এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৭ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মার্টিন গাপটিল। তার দেওয়া শুরুটা দারুণভাবে কাজে লাগান ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। দু’জনে তৃতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। চারে নামা ইয়ং ৩০ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের শটে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে কনওয়ে অন্য প্রান্তে ছিলেন অবিচল। তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে ৫২ বলে ৯২ রানের হার না মানা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১১ চারের সঙ্গে তিনি মারেন তিনটি ছক্কা। তাকে সঙ্গ দিয়ে গ্লেন ফিলিপস ১০ বলে ২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ অভিষেকে ৪ ওভারে দেন ৩০ রান। তুলে নেন ২ উইকেট।
Leave a Reply