ক্রীড়া ডেস্ক ॥ আগের ম্যাচে দ্রুত ফেরার আক্ষেপ যেন এবার মিটিয়ে নিলেন নিগার সুলতানা। দারুণ ব্যাটিংয়ে করলেন সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সহজেই হারাল বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে ২৭ বল বাকি থাকতে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটিতে বাংলাদেশের মেয়েরা এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। দলকে অনায়াস জয় এনে দেওয়ার মূল কারিগর নিগার খেলেন অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস। অধিনায়কের ১৩৫ বলের ইনিংসে চার ১১টি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া রুমানা আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। চতুর্থ উইকেটে দুই জনের জুটি ১১৫ রানের। প্রতিপক্ষকে দুইশর নিচে আটকে রাখতে বড় অবদান রেখেছেন রিতু মনি ও নাহিদা আক্তার। দুই জনেরই প্রাপ্তি তিনটি করে উইকেট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ শুরু এনে দেন অ্যান্ড্রি স্টেইন ও রবিন সিরলি। ১৮ ওভার কাটিয়ে দেন দুই ওপেনার। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ পেরিয়ে বাড়তে থাকে রান। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন রিতু। ১৯ রান করা সিরলিকে কট বিহাইন্ড করে ভাঙেন ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। নিজের পরের ওভারে নেন আরেকটি উইকেট। ক্রিস্টি থমসনকে টিকতে দেননি নাহিদা আক্তার। ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন স্টেইন ও আন্নেকে বোস। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮৬ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরিতে চোখ রাখেন স্টেইন। ফিফটির দিকে এগোতে থাকেন বোস। তাদের জুটিতে দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছে যায় দল। ৭ চারে ৮০ রান করা স্টেইনকে এলবিডব্লিউ করেন সালমা খাতুন। ভাঙে ৭৮ রানের জুটি। পরে ওভারে ৪২ রান করা বোসকে বোল্ড করে দেন নাহিদা। শেষ দিকের ব্যাটারদের সৌজন্যে দুইশর কাছকাছি সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। জবাবে বাংলাদেশের মেয়েরা হোঁচট খায় শুরুতেই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শামিমা সুলতানা। মুর্শিদা খাতুনও বড় করতে পারেননি ইনিংস। চারটি চারে ২১ রান করে বোল্ড হয়ে যান বোসের বলে। থিতু হয়ে ফিরে যান আগের ম্যাচে ফিফটি করা ফারজানা হক। ১৫ রান করে মিশেলা অ্যান্ড্রুসের বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ। নিগার ও রুমানার ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ২ রান করে ফেরা নিগার ৮১ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন রুমানা। ফিফটির পর কিছুটা দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন নিগার। তার পরের পঞ্চাশ আসে ৫২ বলে। বোসকে টানা দুই চার মেরে পা রাখেন নব্বইয়ের ঘরে। ১৩৩ বলে ডানহাতি এই ব্যাটার স্পর্শ করেন কাক্সিক্ষত তিন অঙ্ক। অ্যান্ড্রুসকে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রুমানা। আগামী বৃহস্পতিবার তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
Leave a Reply