বিদেশ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় তিনটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ‘ফিলিস্তিন আল ইয়াউম’ জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনের হামলায় তিনটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার আশঙ্কায় ৪২টি মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় ৫২ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। গত ১০ মে থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বহু বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনকেও গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ২১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ শিশু ও ৩৬ জন নারী রয়েছে। খবর পার্সটুডে’র। এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মাত্র ২৫ মিনিটে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ১২২টি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই হামলায় ৬০টি জঙ্গিবিমান অংশ নেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদাই জিলম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মাত্র আধা ঘণ্টায় আমরা ৬৫টি স্থানে আঘাত হেনেছি। তিনি আরও দাবি করেন, তারা ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। খবর পার্সটুডে ও আল জাজিরার। এছাড়া, ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজার ৫০টি স্কুল ধ্বংস হয়েছে। ফলে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলজীবন হুমকির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন। অন্যদিকে গাজার রকেট হামলায় ইসরায়েলের তিনটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো–অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ইয়েন্স লেয়ার্কে বলেন, গাজায় জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুল রয়েছে ৫৮টি। এতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি। তিনি জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার তালিকায় হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রও রয়েছে। এই হামলার কারণে সুপেয় পানি ও রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানির সংকটে পড়েছেন প্রায় আড়াই লাখ গাজাবাসী।
Leave a Reply