দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ‘বাংলাদেশের ৫৭ কেজি ডিফেন্ডারের পক্ষে বিদেশি ৯০ কেজির স্ট্রাইকারকে থামানো কঠিন’ বাংলাদেশের ফুটবলারদের শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন স্টুয়ার্ট হল। সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইংলিশ কোচের এ কথা বাংলাদেশের স্ট্রাইকারদের ক্ষেত্রে কতটুকু খাটে? আগামী মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ ওমান, আফগানিস্তান ও ভারত। তিন দলই শারীরিকভাবে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই আজ জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে স্টুয়ার্ট হলের কথা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল তরুণ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুয়েলকে। দলের মধ্যে অন্যতম ছোটখাটো গড়নের ফরোয়ার্ড তিনি। ওজনে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে অন্য শক্তিমত্তা কাজে লাগানোয় নজর জুয়েলের, ‘ওরা আমাদের চেয়ে ওজনে বেশি হবে। কিন্তু আমরা একটু হলেও গতিতে এগিয়ে থাকব। তাই চেষ্টা থাকবে কোনো রকমে গতিটা দিয়ে ওদের পেছনে ফেলা যায় কি না।’ যদিও মাঠের খেলা দেখে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গতি তাঁদের চেয়ে বেশি বলে মনে হওয়ার কথা নয় কারও। ১৭ মে থেকে দলের অনুশীলন শুরু হলেও আজই প্রথম দলের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন কোচ জেমি ডে। মাঠে কোন খেলোয়াড়ের ভূমিকা কী হবে, সে অনুশীলন হয়েছে আজ। প্রথম দিনের ট্যাকটিক্যাল পর্ব নিয়ে সন্তুষ্ট জুয়েল, ‘উইং থেকে ক্রস করা হয়েছে। স্ট্রাইকাররা গোল করছে। আজ সবাই ভালো স্কোর করেছে। সুমন, সুফিল, মতিন সবাই ভালো স্কোর করেছে। প্রথম দিন অনুযায়ী বেশ ভালো হয়েছে। উইং আর স্ট্রাইকারদের মধ্যে খুব ভালো একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। বুঝতে পারছিলাম কে কোথায় যাচ্ছে, পাসটা কোথায় দিতে হবে। এটা খুব ভালো হয়েছে।’ দলের সঙ্গে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। চোট থাকায় ক্যাম্পের শুরু থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছিলেন তিনি। এখন নিজেকে ফিট মনে হচ্ছে তাঁর, ‘আমার এখন আর কোনো চোট নেই। শতভাগ সুস্থ।’ বাছাইপর্বের আয়োজক দেশ কাতারে গিয়ে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ছিল তপুদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি বাতিল হয়ে যায়। বাফুফের ভাষ্যমতে, এখন সৌদি আরবে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটি না হলে দেশেই কোনো ক্লাবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূঁইয়া-তপুরা। প্রস্তুতি ম্যাচ প্রসঙ্গে তপু বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা আমাদের জন্য অনেক জরুরি ছিল। যে কারণেই হোক কাতারে আমরা আগে পৌঁছাতে পারিনি। হয়তো সে কারণে ম্যাচগুলো খেলতে পারব না। আমি মনে করি, আমাদের একটা-দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিত। যেহেতু আমরা এখনো দেশেই অনুশীলন করছি, সে ক্ষেত্রে এখানেই ম্যাচ খেললে আমাদের দলের কাঠামো আর পারফরম্যান্স বিবেচনা করে কোথায় সমস্যা আছে, সে বিষয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারব। কোথায় সমস্যা আছে, সেগুলো বুঝতে পারব।’ ঢাকায় স্থানীয় দলের বিপক্ষে খেললেও সেটি খারাপ হবে না বলে মনে করেন তপু, ‘কাতারের প্রস্তুতি ম্যাচের সঙ্গে এখানে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) দলের সঙ্গে ম্যাচ হয়তো এক হতো না, কিন্তু কাতারে গেলে দেখা যেত, আমাদের দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগের কোনো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে হতো। আমরা আগেও ওদের এসব দলের সঙ্গে খেলেছি। যদি ওদের দ্বিতীয় বিভাগের দল আর আমাদের প্রিমিয়ার লিগের দলের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে বলব আমাদের দলই এগিয়ে।’
Leave a Reply