বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা দেহেরগতি ইউনিয়ন এর রাহুতকাঠি গ্রামের জাহিদ ইসলাম কে পিটিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। রবিবার দুপুরে নিহতের বাবা আকব্বর আলী শেখ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হত্যার ১ মাস অতিবাহিত হলেও মূল আসামি কবির শিকদার, মিঠু সিকদার,মাইনুল সিকদার,মোসাঃ সাথী, মোঃ হাবিব হাং সহ সকল আসামিদের গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ। বর্তমানে আসামিরা নানাধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়ায় পরিবার নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। বাবুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র বালো বলেন,এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। আমরা শুনে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শোলক গ্রামের আকাব্বর আলী শেখ এর ছেলে মোঃ জাহিদ শেখ। দীর্ঘদিন যাবৎ রাহুতকাঠী বাজারের পাশে কবির শিকদারের বাসায় ভাড়া থাকিয়া দিন মজুরের কাজ করিয়া আসিতেছিল। এক পর্যায়ে মোঃ জাহিদ এর সাথে এস্থানিয় সাথীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। ও পরিবারের অনিচ্ছা স্বত্বেও তাহারা বিগত ৬ মাস পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া স্বামী স্ত্রী বসবাস করিয়া আসিতেছিল। কিন্তু সাথীর সাথে কবির শিকদারের ছেলে মিঠু সিকদারের অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক করে।যাহা জাহিদ জানতে পারে ও কবির শিকদার কে জানায় এতে কবির শিকদারের ছেলে মিঠু সিকদার। গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে জাহিদ রাহুত কাঠি হোসেন মোল্লার ফ্রেকটুরির সমুখে আসলে জাহিদ কে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে জাহিদ বেহুঁশ হইয়া পড়িলে সকল আসামীগণ তাকে ধরিয়া আসামি সাথীর ঘরে নিয়া তাহার গলায় ওড়না পেচিয়ে জুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে রাত ১ টার সময় মোবাইলে জাহিদের বাবাকে জানায়। খবরপেয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে। এব্যপারে জসিম এর বাবা বাবুগঞ্জ থানায় সকল আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা দায়ের করিতে চাইলেও মামলা নেয়নি বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। এর পরে নিহতের বাবা মোঃ আকাব্বর বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ১২ মে একটি মামলা করেন। মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
Leave a Reply