বিদেশ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানও উইঘুর মুসলিমদের জোর করে চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে। মুসলিম পাকিস্তান এখন মোটেই আর নিরাপদ আশ্রয় নয় চীনের নিপীড়িত উইঘুর মুসলিমদের জন্য। প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে চীন থেকে পালিয়ে এসেও তাদের লাভ হচ্ছে না। ইমরান খানের প্রশাসন তাদের ফেরত পাঠাতে তৎপর। আসলে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি)-এর কারণে বেইজিং-এর যেকোনও শর্তই এখন মেনে নিতে বাধ্য পাকিস্তান। অভিযোগ রয়েছে, বিশাল ঋণের দায়ে জর্জরিত ইমরান খানের সরকার মুসলিম নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোর থেকে চীনা কমিউনিস্ট পাটিকে খুশি রাখতেই বেশি তৎপর। এমন তথ্যই উঠে এসেছে মার্কিন-কানাডিয়ান ডিজিটাল গণমাধ্যম ভাইস-এর প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্রকার ব্রেন্ট ই হাফম্যানের প্রতিবেদনে। এতে তুলে ধরা হয়েছে, পাকিস্তানের মতো ইসলামিক রাষ্ট্রে চীন থেকে পালিয়ে আসা তুর্কি মুসলিমদের দুর্দশার কথা। উইঘুররা এখন নিজেদের জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘের সাহায্য চাইছেন। তাদের আশঙ্কা, চীনে ফিরলে তাঁরা প্রাণে বাঁচতে পারবেন না। ভাইস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন উইঘুরদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লাখ মানুষ বন্দি। বাচ্চারা তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন। উইঘুরদের নিজস্ব ধর্ম বা সংস্কৃতি আক্রান্ত। পুনঃশিক্ষা কেন্দ্রের নামে নারীদের ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। তারা ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলেও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ‘উইঘুর গণহত্যা’র কথা বলেছিলেন। কিন্তু চীন জিনজিয়াং প্রদেশের যাবতীয় ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে। বন্দিশিবিরগুলোতে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাও চীন অস্বীকার করছে।
Leave a Reply