বিদেশ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানে যাত্রীবাহী দুটি বাসে পৃথক হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী কাবুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ খবর দিয়েছেন। বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিরিজ হামলার এটাই সর্বশেষ ঘটনা। কোনো পক্ষই এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। খবর রয়টার্সের। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী বাসে হামলার দুটি ঘটনাই ঘটেছে মঙ্গবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলীয় শিয়াপ্রধান এলাকায়। ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর এর আগেও নানা হামলা চালিয়েছে আইএস-সহ বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী। কাবুল পুলিশের মুখপাত্র ফেরদাউস ফারামার্জ বলেছেন, পৃথক হামলার শিকার ওই দুটি বাসই তখন যাত্রীবোঝাই ছিল। হামলায় ১২ নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাম্প্রতিককালে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা, যানবহানের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া চুম্বক বোমা ছাড়াও আরো নানাধরনের কৌশলে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। নিরাপত্তা সদস্য, বিচারপতি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অধিকারকর্মীরাই এসব হামলার লক্ষ্য। দায় স্বীকার না করলেও দেশটির সরকার সাধারণভাবে তালেবানকেই এসব হামলার জন্যে দায়ী করে থাকে। তবে তালেবান সরকারের দাবি বরাবরই নাকচ করে আসছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার আধিক্য শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই হামলার তিন সপ্তাহ আগে কাবুলের ওই একই অঞ্চলের একটি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় সরকারি হিসেবে ৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটে, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। পরে অবশ্য ওই সংখ্যা ৮০ জন বলে জানানো হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখন শান্তি প্রক্রিয়ার আওতায় আলোচনা চলছে। এরপরও চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১,৮০০ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply