ক্রীড়া ডেস্ক ॥ অবশেষে কোপা আমেরিকার সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ব্রাজিল। আর ফাইনালের জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়াম। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটি জানায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। নির্ধারিত ১৩ জুন ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ দিয়ে মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে শুরু হবে আসরটি। আসরে ‘বি’ গ্রুপে ব্রাজিলের অন্য প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া, একুয়েডর ও পেরু। টুর্নামেন্টে আরেক ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা আসর শুরু করবে ১৪ জুন রিওর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে। ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চিলি। এই গ্রুপের অন্য দলগুলো হলো-বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে। আগামী ৫ জুলাই নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে হবে প্রথম সেমি-ফাইনাল; পরের দিন মানে গারিঞ্চায় হবে দ্বিতীয়টি। পূর্ব নির্ধারিত ১০ জুলাই তারিখেই মারাকানায় হবে ফাইনাল, এই একটি ম্যাচই হবে এখানে। এর আগে গত সোমবার আর্জেন্টিনায় কোপার আসর বাতিল করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কনমেবল ব্রাজিলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দেয়। মূলত করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া কোপা আমেরিকা হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনায়। প্রতিযোগিতাটির ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলম্বিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলায় দেশটি আয়োজক তালিকা থেকে বাদ পড়ে। সবগুলো ম্যাচ আর্জেন্টিনায় আয়োজনের প্রস্তাব দেয় কনমেবল। কিন্তু আর্জেন্টিনায় এখন করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ চলছে। তাই তারা কোপা আয়োজনে আগ্রহী নয়। তাই ঝুলে গিয়েছিল টুর্নামেন্টটির ভাগ্য। এবার ব্রাজিলে নির্ধারিত সময়েই বসবে কোপার আসর। ১৩ জুন থেকে শুরু হয়ে চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। আর্থিক ক্ষতির কারণেই মরিয়া হয়ে কোপার আয়োজন করছে কনমেবল। এ পর্যন্ত ৫টি কোপা আমেরিকার আসর আয়োজন করেছে ব্রাজিল এবং তারা সবকটিতেই শিরোপা জিতেছে। সবেচয়ে বেশিবার বিশ্বকাপজয়ী দেশটিতেও কিন্তু ভয়ানক করোনা সংক্রমণ চলছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটি বসতে যাচ্ছে ব্রাজিলে। যদিও সেখানেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। সরকারি হিসাব মতে, বুধবার দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক লাখ, মারা গেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে বর্তমান সময়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে তারা শীর্ষে এবং বিশ্বের হিসাবে দ্বিতীয়। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলে এই ভাইরাসে মারা গেছে চার লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ।
Leave a Reply