বিদেশ ডেস্ক ॥ ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে ফের যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের অন্যতম মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এই হুঁশিয়ারি দেন। তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন। খবর পার্সটুডের। সামি আবু জুহরি বলেন, যুদ্ধবাজ ইসরায়েল চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না এবং দৈনিক ভিত্তিতে পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এছাড়া পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরের লোকজনকে উদ্বাস্তু করে দেয়ার হুমকি এখনো বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে এসব ঘটনা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে পারে হামাস। গাজার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর গত ১০ মে রকেট হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে নারকীয় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি গাজা সীমান্তে কামান-ট্যাংক থেকেও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু ১০০ জন। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। অন্যদিকে হামাসের ছোড়া রকেট হামলায় ১৩ ইসরায়েলি নিহত হন। টানা দশ দিনের যুদ্ধের পর মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও গাজার শাসক দল হামাস। হামাসের অন্যতম মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেন, মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যে দুর্বল যুদ্ধবিরতি হয়েছে হামাস তা এখনো মেনে চলছে। তবে ইসরায়েলের আচরণের ওপর এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলবে হামাসও ততক্ষণ পর্যন্ত তা মানবে। কিন্তু ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে সহযোগিতা না করে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হবে।’ সামি আবু জুহরি জোর দিয়ে বলেন, দুই পক্ষ যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে তা একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি নয়। দখলদার ইসরাইলের রক্তপিপাসু ও অপরাধমূলক তৎপরতার কারণে এই অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনেকটাই ভঙ্গুর।’
Leave a Reply