বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রাজাপুরে মো. ছিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার নামে এক দিনমজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার পর থেকে ঐ দিনমজুর পালিয়ে থাকায় তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগম দুই সন্তান নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বাইপাস মোড় রবি টাওয়ারের নিচ তলায় হলরুমে সুমাইয়া বেগম উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। সুমাইয়া বেগম উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাতলা এলাকার মো. ছিদ্দিকের স্ত্রী। সুমাইয়া অভিযোগে জানায়, তার স্বামী ছিদ্দিক দিন মজুরের কাজ করেন। গত ৩০ মে রাতে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে প্রতিবেশী হারুন-অর-রশিদের সাথে মারামারি ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় হারুন-অর-রশিদ সুমাইয়ার বাবাসহ ছিদ্দিককে আসামি করে মামলা করেন। ঐ মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয় ছিদ্দিক। বিয়ের পরে আমার স্বামী নিজ কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমার বাপের বাড়ি পুটিয়াখালিতে আর জাওয়া হয় নাই।গত এক বছর পূর্বে আমার বাপের পাশের বাড়ির হারুনের সাথে ছাগল নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে আমার বাবাকে বেদম কিল ঘুষি দেয় যা আমরা রাজাপুর থানায় লিখিত দরখাস্ত দেই এবং আমার বাবাকে ২৮/০১/২০২০ তারিখে রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা আমার স্বামী করে তার জেরে গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারুন-অর-রশিদের বাড়িতে একটি মারামারির ঘটনায় একটি মিথ্যা মামলা করে আমার স্বামীকে আসামী দেয়। তিনি অভিযোগে আরো জানায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিদ্দিক মামলার পর থেকেই পালিয়ে থাকায় সুমাইয়া তার ৮ ও ৪ বছরের ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছে। তাদের কখনও অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে। এমতাবস্থায় সুষ্ঠ তদন্ত করে তার নিরপরাধ স্বামীকে এই হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অভিযুক্ত মো. হারুন-অর-রশিদ জানায়, ঘটনার সময় ছিদ্দিক উপস্থিত থেকে মারমারি করেছে।
Leave a Reply