বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন
পিরোজপুরে নদীর পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত ২২০০ পানের বরজ, দুশ্চিন্তায় চাষি

পিরোজপুরে নদীর পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত ২২০০ পানের বরজ, দুশ্চিন্তায় চাষি

পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুদ্ধি পাওয়া কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে পিরোজপুরের ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পান চাষিরা। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়েও অনিশ্চয়তা দিন কাটছে তাদের। তবে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় ৬৯৭ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে সদরে ৮৪ হেক্টর, ইন্দুরকানীতে ১৮ হেক্টর, কাউখালীতে ১০৭ হেক্টর, নেছারাবাদে ১৯৫ হেক্টর, নাজিরপুরে ১৫ হেক্টর, ভান্ডারিয়া ২৩৫ হেক্টর ও মঠবাড়িয়া ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন ও ভান্ডারিয়া উপজেলা পানের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর কোটি টাকার পান ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় রফতানি হয়। স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে এখানকার পানের। ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের পান চাষি সনাতন মিস্ত্রি ও সুকন্যা ঘোষ জানান, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে যায় ৫০ হেক্টর জমির পানের বরজ এবং আংশিক পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০০ হেক্টর পানের বরজে। এতে মরে যাচ্ছে গাছ ও নষ্ট হচ্ছে পান। পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘পিরোজপুর জেলাটি সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। পান এখানকার একটি অর্থকরী ফসল। বারোজীবী সম্প্রদায়ের লোক অতীত থেকে পান চাষ করেই তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। আমাদের এখানে পানের ফলন হেক্টর প্রতি রেকর্ডে আছে ১২ দশমিক ৭৩ মেট্রিক টন। সে হিসেবে আমাদের এখানে গড় প্রায় ৮ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে পিরোজপুরে পান চাষ হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পানের চাহিদা, বেড়েছে চাষও। চলতি মৌসুমে ইয়াসের প্রভাবে কঁচা ও পোনা নদীর পানি ঢুকে ছোট বড় ২ হাজার ২০০ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের সহযোগিতা করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com