বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় বোরো মৌসুমে ৩০৩টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নিয়ে ধান ক্রয় শুরু করে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা। ইতিমধ্যে মন প্রতি ১০৮০টাকা দরে প্রায় ১৫০ টন ধান ক্রয় করা হয়েছে বলে জানাগেছে। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধান ক্রয়ের শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও এবার রাতের আধারে ধান গুদামজাত করা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে । রাতের আধারে ধান সংগ্রহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতাদের তোপের মুখে পরেন বাবুগঞ্জ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোসাঃ ফরিদা ইয়াসমিন। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ওসি এলএসডি কর্তৃক ক্রয়কৃত ৬০ বস্তা বোরধান টমটম গাড়ীতে খাদ্যগুদামে নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ ও যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল চিশতি ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ করিম লাভুর। সরকারি বস্তায় রাতের আধারে ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে প্রবেশ করালে তাদের সন্ধেহ হয়। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম বলেন, ‘বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে আমরা গোডাউনে গিয়ে ওসিএলএসডি মোসাঃ ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে রাতে ধান সংগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কৃষকের ধান বলে দাবি করলেও কৃষকের নাম ও ঠিকানা বলতে পারেনি। কৃষকের অনুকুলে সরকারি বস্তা ইস্যু করার ব্যাপারে কোন রেজিষ্টার দেখাতে পারেনি। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমীনুল ইসলামকে রাতে ধান সংগ্রহের ব্যাপারে অবগত করেছি’। এদিকে ওসিএলসডি ফরিদা ইয়াসমিন ওই দিন রাতে প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে ধানের মালিকের নাম বলতে না পারলেও সকালে উপজেলার চাঁদপাশার একজন কৃষক মাহাবুব খলিফার নাম বলেন। তিনি আরো বলেন, এভাবে ডিস্টার্ব করলে ধান কেনা বন্ধ হয়ে গেলে লক্ষ মাত্রা অর্জন হবে না। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ বলেন, “দীর্ঘদিন যাবৎ ওসিএলএসডির বিরুদ্ধে সাধারন কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিজের চোখে দেখে অবাক হলাম। উপজেলার প্রকৃত কৃষকরা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে”। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমীনুল ইসলাম বলেন, রাতে ধান সংগ্রহের বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুবিনা পারভিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
Leave a Reply