নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মা ছাহেরা বেগম নিজ বাড়িতে না ফেরার কারনে পোকা মারার ওষুধ সেবন করে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহননকারী কিশোরীর নাম রহিমা বেগম। রহিমার গ্রামের বাড়ি আমতলী উপজেলার উল্টাখালী গ্রামে। কামাল হাওলাদারের মেয়ে সে। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে মা ছাহেরা বেগমকে আনতে যায় রহিমা। কিন্তু নানাবাড়ির লোকজন ছাহেরা বেগমকে স্বামীর বাড়ি ফিরতে দেয়নি। ছাহেরা বেগমকে আনতে ব্যার্থ হওয়ায় নিজ বাড়িতে এসে সোমবার বিকেলেই ধান খেতের পোকা মারার ওষুধ সেবন করে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আত্মহননকারী ওই কিশোরীর বাবা কামাল হাওলাদার জানান, আমার স্ত্রী ছাহেরা বেগম আমার সঙ্গে ঝগড়া করে দীর্ঘদিন তার বাপের বাড়ি উঠে আছে। আমি একাধিকবার ছাহেরাকে আমার ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু শ্বশুরালয়ের লোকজন তাকে আমার কাছে আসতে দেয়নি। সর্বশেষ, সোমবার সকালে স্ত্রী ছাহেরা বেগমকে আনতে যায় আমার মেয়ে রহিমা। কিন্তু নানাবাড়ির লোকজন ছাহেরা বেগমকে আমার বাড়িতে ফিরতে দেয়নি। ছাহেরা বেগমকে আনতে ব্যার্থ হওয়ায় নিজ বাড়িতে এসে সোমবার বিকেলে ধান খেতের পোকা মারার ওষুধ সেবন করে আমার মেয়ে রহিমা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় রহিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শেবামেক হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শেবামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালাম জানান, রহিমার লাশ মর্গে রয়েছে। অন্যদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুস সবুর খান বলেন, রহিমা আত্মহত্যা ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
Leave a Reply