মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীকে তাড়ানোর জন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাজানো মামলা করেছে পাষন্ড স্বামী খলিল মুন্সী। গত ৩১ আগস্ট উপজেলার পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের মৃত. মালেক মুন্সীর ছেলে খলিল মুন্সি স্ত্রী আসমা বেগমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্টেট আদালতে এ মামলাটি (এমপি-৪২৯/২১) দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের মেয়ে আসমার সাথে প্রায় ১৭ বছর আগে খলিল মুন্সীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের সময় দেড়লাখ টাকার মালামাল ও স্বর্ণালংকারসহ আসমাকে তার বাবা খলিল মুন্সীর হাতে তুলে দেয়। বিয়ের কয়ের মাস পরেই আসমার ওপর নেমে আসে ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শাররিক ও মানুষিক নির্যাতন। পরে ৫ কাঠা জমি আসমা বেগমের নামে লিখে দেয়ার প্রস্তাবে ছত্তার হাওলাদার জামাতা খলিল মুন্সী কে দুই লাখ টাকা দেন। খলিল মুন্সী বিদেশ যাবার পরে ওই ৩ লাখ টাকা যৌতুক নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এ টাকা না দিলে বাড়ি ছেড়ে চলো যাবার হুমকি দেন এবং স্ত্রী সন্তানদের খরচ টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় পাষন্ড খলিল। ফলে আসমা স্বামীর ঘরে তালা মেরে পিতার বাড়িতে এসে নির্মানাধীন ভবনে বড় ছেলে মুছাসহ লেবারের কাজ করেন।
এদিকে সুচতুর খলিল মুন্সী স্ত্রী-সন্তানকে না জানিয়ে সম্প্রতি বিদেশে থেকে এসে বোনের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এবং স্ত্রীকে তাড়ানোর জন্য মিথ্যা অপবাদ সাজিয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে খলিল হঠাৎ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ঘরের চাবি দাবী করে। এসময় আসমা বেগম প্রতিবাদ করলে খলিল যৌতুক ৩ লাখ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতে বলায় কথার কাঁটাকাটির এক পর্যায় আসমা বেগমকে উপর্যপুরি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আহত আসমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় আসমা বেগম বাদি হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় পাষন্ড স্বামী খলিলের বিরুদ্ধে মামলা (জিআর-৩১১/২১) দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে ।
Leave a Reply