পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা জমির বন্টন নিয়ে একে অপরকে মারধর সহ ঘর ভাঙ্গচুর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে মৃত মতিয়ারের ছেলে জাহিদ গংদের বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্র জানায় গত শুক্রবার আরামকাঠীর শান্তির হাট এলাকায় এক ভাইয়ের জায়গায় আর এক ভাই নাগরিকেল পাডতে যায়। আর সেই সূত্র ধরেই জাহিদ সহ মজিবর, আতাহার ও রিমন গংরা সন্ত্রাসী কায়দায় আপন ভাই মোঃ কবির ও আপন ভাতিজা শাকিবকে অমানুষিক কায়দার নির্বাচন করে। এক পর্যায়ে আপন ভাইয়ের ঘর ভাংচুর করার মিশনে নেমে সফলতা পায় বলে স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। এসময়ে জাহিদ ও তার আপন ভাগিনা মোঃ রিমন(১৫) গাং লাঠি সোটা দিয়ে কবিরের বসত ঘর ঠান্ডা মাথায় ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়ার মাত্রা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এক পর্যায়ে জাহিদ রান্না ঘরের দাও নিয়ে আসে আপন ভাই কবির ও তার ভাতিজাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকার সাধারণ মানুষ দারুণ ভাবে হিমসিম খায়। এদিকে এলাকার সাধারণ মানুষেরা বাধ্য হয়ে প্রশাসনের শরণাপন্ন হতেও বাধ্য হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন আসার আগেই ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় জাহিদ ও কবিরের আপন ভাগিনা রিমন। ভাই ভাইয়ের মধ্যে সামান্য সীমানা নির্ধারণ ও নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি সহ বসত ঘর ভাংচুর ও দায়ে কোপের সৃষ্টি। স্থানীয় সূত্র জানায় মাথা গরম করে জাহিদ ও তার অনুসারীরা এক পর্যায়ে দাও দিয়ে কোপাতে চায় আপন ভাই কবির ও তার ছেলে মোঃ শাকিবকে। কিন্তু বিধি বাম বিদায় জাহিদের দায়ের কোপ লাগে উভয়ের আপন ভাগিনা রিমনের গায়ে।স্থানীয় ভাবে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আজকের ঘটনা আহমরি ছিল না। কিন্তু জাহিদ ও তার অনুসারীরা অতি মাত্রায় উৎসাহী হওয়ার কারণে জাহিদের কোপ ভুলে লাগে আপন ভাগিনা রিমনের শরীরে। এদিকে এলাকার বর্তমান জনপ্রতিনিধি ঘর ভাংচুর সহ সমগ্র বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। জায়গা জমির বিরোধ ও নারিকেল গাছ থেকে নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে আজকের সব কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঘটেছে। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলামের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয় হয়েছে। তড়িৎগতিতে দক্ষ এস আই মোঃ তসলিম স্পটে গিয়ে জাহিদ গংদের রেশানলের স্বীকার হওয়া মোঃ কবির ও তার ছেলে মোঃ শাকিবকে ঘর থেকে নের করে নেয়। যথা সময়ে প্রশাসনের লোকজন না গেলে জাহিদ গংদের রেশানলে হয়তো দুটি তরতাজা প্রাণের যূপ নিপাত ঘটতে পারতো। ভাগ্য ভালো মোঃ জাহিদের ভুলে অসতর্কতার কারণে আপন ভাগিনা মোঃ রিমন কোপ খায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের অফিসার মোঃ তসলিম বিস্তারিত সব কিছু খুলে বলননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুহুর্তের মধ্যে মোঃ কবির ও তার ছেলে মোঃ শাকিবকে নিয়ে আসি নেছারাবাদ থানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসুক তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন আগাবে আইনের ধারা অনুযায়ী। এ ব্যাপারে জাহিদের পরিবারের সাথে কথা হয়। গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে আজকের সব কিছুর সৃষ্টি। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আসলেই কবিরের বসত ঘর ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। তবে দায়ের কোপেরকথা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। এদিকে কবিরের স্ত্রী শাহিনুর ও তার মেয়ে সানজিদা বলেন পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ঠান্ডা মাথায় নাটক সহ আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করে। পাশাপাশি আমার স্বামী মোঃ কবির ও আমার ছেলে মোঃ শাকিবকে কোপাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য ভালো বিদায় জাহিদের দায়ের কোপ লাগে আমাদের উভয়ের ভাগিনা মোঃ রিমনের গায়ে। আপনারা সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা এলাকার কাছে এবং জাতির কাছে সত্য ঘটনা তুলে ধরুন। তিনি আরও বলেন আমাকেও নির্মম ভাবে মারধর করে। স্পর্শ কাতর স্থানে আঘাত করে বলে জানান। এদিকে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোঃ হোসেন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঘটনার কথা বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন মোঃ কবির ও তার ছেলে মোঃ শাকিবকে প্রশাসনের কব্জায় নিয়ে আসা হয়। তবে সর্বশেষ তথ্য মতে জাহিদ ও তার পরিবার নেছারাবাদ থানায় অভিযোগ করেন এবং শেষ পর্যায়ে মামলা রুজু করা হয় বলে জানান।
Leave a Reply